ঊষা কালে বেণুবনে ডাকে নাকো পাখি
এই  শহরে কবি হয়ে কেমনে বলো থাকি!


      সকাল বেলা শিশির ভেজা নেই তো কোমল ঘাস
      পাখির গানে ফুলের ঘ্রাণে হই না নিরুদ্দেশ।


       বিকেলে নেই রক্তিম সূর্য অস্তপুরের কোণে
যেথা  মেঘ-কনেরা আবির মেখে কুয়াশার জাল বুনে;
       শান্ত-নিবিড় অস্তমায়া থেকে থেকে ডাকে
       উদাস কিশোরীর মন হু হু করে উঠে।


       নিশিতে নেই চাঁদের মায়া কামিনী ফুল ঘেঁসে
       শেফালী ফুল ঝরে নাকো রাতের শেষে এসে!


আছে  গলি-গলি মোড়ে-মোড়ে খোলা ডাস্টবিনের গন্ধ
উফ   মটর যানের চড়া হর্নে কান যে অকাল-বন্ধ।
        ভাবলেশহীন মানুষ গুলো যেন যন্ত্রের মত
        হৃদয়টাও পাকা যেন অট্টলিকার মত;


       মিটিং-মিছিল কড়াকড়ি গুম-টুম, খুন ছড়াছড়ি
       সত্য মিথ্যার ধুয়াশায় সদা থাকি দ্বিধা-দন্ধে।
       মন বসে না তাইতো আমার কবিতারই ছন্দে
       এক সাথে কি যায় গো ভাবা ভাল আর মন্দে!!