সহসা তীব্র এক ঘ্রাণের তারনায় ছুটিল সে।
তব ভীরের কোলাহলে হারিয়ে গেল অপূর্ব ঘ্রাণের
কৃষ্ণচূড়া ফুল।
সহস্র নক্ষত্রের মাঝে কোন এক নক্ষত্র
কেড়ে নিয়েছিল তার চপল এই মন,
কিন্তু শত নক্ষত্রের মাঝে হঠাৎ যেন
নিরুদ্দেশ তাহা।
শত নেত্রের মাঝে অদৃশ্য এক মায়াবী চোখের
স্পৃহা তাক করিল তাহায়,
শত নীরদের এক টুকরো নীরদ দিল
আশ্রয় তাহায়, তবে খানিক অন্তে যেন অন্তর্হিত হলো
ওই সত্য।
সরোবরে ফুটিল কত পদ্ম,
শালিক পাখিদের কিচিরমিচির, অরণ্যদের
উজার করা স্নেহ,
শ্যামল দীঘির মহিমায় যেন বাহ্যজগতে জাগিল
উচ্ছসিত।
তব তাহার মনে যেন  গাইছে সেই  হারিয়ে ফেলার সংগীত।
ফুলের খোজে ছুটতে ছুটতে,
নক্ষতের নিমিত্তে  অপেক্ষার প্রহর গুনতে,
নীরদের বাসনায় হাটতে হাটতে ,
আজ বড় অবিশ্রান্ত হয়ে পরেছে সে।
এইভাবেই হচ্ছে লিখিত কত নিরর্থক স্নেহের জবান,
ফের রচিত হইল এই শহরের ব্যর্থ মনুষ্যের উপখ্যানের কথন।