তুমি চলে যাচ্ছো বলে
পুব জানালায় রোদ আসেনি আজ ৷
টবের প্রিয় গাছটা মুখ থুবড়ে আছে,
পাতাগুলোও দুমড়ে গেছে ৷
তুমি চলে যাচ্ছো বলে
গতরাতে একটাও স্বপ্ন আসেনি ৷
ঘুম আসেনি বলেই হয়ত ৷
মুখ গুজে রাত করেছি পার ৷
তুমি চলে যাচ্ছো বলে
হাস্নাহেনারা একটুও গন্ধ ছাড়েনি,
আগে তো সারারাত ঘ্রান পেতাম ৷
বারান্দার বুক ঘেষে
কাঁঠালচাঁপা গাছটিও নুয়ে পড়েছে ৷
তুমি চলে যাচ্ছো বলে
কবিতারাও বড্ড বেরসিক হয়ে গেছে,
কলমের ডগায় ছন্দের খরা এসে গেছে ৷
মাথা থাপড়েও লিখতে পারিনি একছত্র ৷
তুমি চলে যাচ্ছো বলে
ছাদের ওপাশটা গুমোট লাগছে,
জোসনা স্নান করতাম ওখানে প্রায়ই ৷
তুমি কাঁধ ছুয়ে দাড়াতে আমার,
চোখ বেয়ে নামতো ছায়াপথ ৷
দুজনে হেঁটে যেতাম ছায়াপথ ধরে ৷
তুমি চলে যাচ্ছো বলে
স্তব্ধ হয়ে গেছে ঠোঁট,
খই ফোঁটা মুখে কথা নেই আমার,
কন্ঠনালী ধরে আসছে বারবার ৷
তুমি তো চলেই যাচ্ছো,
তবে আর কেন কিছু বলা ?
পিছন ডেকে আটকাবো না,
বৃথা চেষ্টায় কি লাভ ?
তুমি চলে যাচ্ছো বলেই
আমিও চলে যাই,
স্মৃতিগুলো গুছিয়ে রাখি ৷
ওগুলো আমার সম্পদ ৷
কিছু ধরে রাখার কাজে
আমি খুব অদক্ষ, অপটু ৷
তুমিই বলতে সারাক্ষন ৷
অথচ আজ একেবারেই
মুক্তি মিললো আমার,
ধরা না ধরার কথাগুলো অবান্তর ৷
নেই কোনো পিছুটান,
ঘরে ফেরার তাড়াও নেই ৷
আমি উন্মুক্ত বিহঙ্গ হলাম ৷৷