প্রাকৃতিক  বৈরিতা থেকে জীবন রক্ষার তাগিদে
জীবনযাপন উপযোগী আশ্রয়ের সন্ধানে
ভূ-ভাগের চরম শীতলতম অঞ্চল থেকে
কম শীতলতম ; নাতিশীতোষ্ণ মন্ডলীয় অঞ্চলে
               বাংলার হাওর, বিল ও বড় জলাশয়ে ।  


আমরা  মাইগ্রেটরি বার্ড  বা পরিযায়ী পাখি
                   মতান্তরে যাযাবর পাখিও বটে,
অতিথিপরায়ণ বাঙ্গালীর আতিথেয়তার আতিশয্যে
      আমাদের অতিথি পাখি নামেই সমধিক ডাকে ।


আমাদের কলকাকলিতে মুখরিত হয় চারিদিক
পাখি প্রেমিরা ছুটে আসে দলে দলে উৎসবের আমেজে
আমাদের দেখভালের দায়িত্ব নেয় অনেকেই
গবেষণায় মেতে উঠে গবেষকদল ।


মানুষের ছায়ামূর্তির স্বরূপে শিকারির দল
তীর বা গুলিতে আমাদের কোমল দেহ বিদীর্ণ করে
                         করে  বিষ টোপে  চলৎশক্তিহীন,  
বৈতংসিকরা ফাঁদ পেতে জীয়ন্ত ধরে ;
                     অভিজাত এলাকার ব্যস্ত রাস্তার ধারে
পা দু’টি মুষ্টিবদ্ধ করে দেহটি শূন্যে ভাসিয়ে হাঁক দেয়
‘শিকার, শিকার, এই শিকার----------’  ।


আমারা শিকার  হই
               কতিপয় লোকের জীবন জীবিকার তাগিদে
                সৌখিন শিকারির শখের লালসা মেটাতে,
সময়ে সময়ে আমরা প্রেরিত হই
              দুর্জনের অভিসন্ধির  উপঢৌকন হিসাবে
                   রসনা পূজারীর  রসনা বিলাসে ।


আমরাতো শিকার নই, নই রসনার উপাদান
আমরা থিতু হতে আসি না বাংলার মাটিতে
                          আসি না কোন প্রমোদ বিহারে
আমরা ফি বছর আসি বিপন্নতা থেকে রক্ষা পেতে ।


আমাদের আকাঙ্খা মানুষের জাগ্রত বিবেক,
                         বাংলা একটি অভয়ারণ্য,
আমরা বাঁচতে চাই ,আমাদেরও বাঁচার অধিকার আছে  
অথিতি পাখি নামে না হলেও
                                      শরণার্থী পাখি নামে
সুজলা- সুফলা এই বাংলার মাটিতে।