মহা সত্যকে পিছে ঠেলে এগিয়ে চলেছে বাংলা সমাজ।
ভাবছে ছুতে পারলেই পাশ্চাত্য আমরাও হব সেরাদের মাঝ।
আমরাও ভাসব সম্মৃদ্ধির জোয়ারে, সুখ শান্তি সব দিবে ধরা।
আমরাও হব সভ্য, আধুনিক, প্রগতিশীল সব নাম করা।


তাইতো চলছে কাচি চালানো ধর্ম, সংস্কৃতি,বিশ্বাসের গায়।
ভাবছি এসব সরাতে পারলেই, আমরাও হব তাহাদের ন্যায়।


শোন হে বোদ্ধারা!অবস্থান ভেদে সকল জাতি সমান নয়।
কেউবা ধলা, কেউবা কালা,মোঙ্গোলীয়,নেগ্রিটো হয়।
তাই বলে যদি সব ককেশীয় বানিয়ে, করতে হয় আধুনিক।
কেমন নৃশংস সংস্কার এই,জবাব দাও হে ওহে সঠিক।!
উন্নতি কি এই বলো কালো থেকে হল ধলা?
সংস্কৃতির সাথে সর্বোত্তম প্রযুক্তি "উন্নতি তারেই যায় বলা।


যে দেশে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মুসল্লীরা মসজিদে করে আদায়।
খোদার ভয়ে যাকাত সদকা,কুরবানীর পশু করে জবাই।
যে দেশে মন্দিরেতে দুর্গা কালী ,লক্ষী স্বরসতীর পূজা হয়।
উপোস থাকে কেউ, রোজা রাখে কেউ, প্রার্থনাতে অস্রু বহায়।
পোশাক, বিয়ে, চলন,চিন্তা পরিচালিত হয় ধর্ম হতে।
আনন্দ,উৎসব সবটাই যার এসেছে ধর্মীয় উৎসব মতে।
দুর্দশা কিংবা রাস্ট্রীয় সংকটে আল্লাহ, ভগবান এ প্রার্থনা মাগে।
মসজিদ মন্দির গীর্জা সমুহে কোটি জনতা ক্রন্দনে জাগে।


সেই আল্লাহ, ভগবান, মসজিদ,মন্দির ভাবছ সরাতে পারলেই বুঝি,
আমরাও হব ককেশীয় পাষাণ, তাইতো বোদ্ধারা যাচ্ছে যুঝি।


এ নিশ্চয় সাংস্কৃতিক যুদ্ধ, উপনিবেশের নতুন ছল।
তাইতো সারা ছিদ্র দিয়ে, ছিদ্র করে ঢুকছে বিদেশ গলগল।


ভাষার তরে প্রাণ দিয়ে রক্ষা করেছিল এই বাংলা যারা।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন রুখতে লড়বে আবার বাংলার যুবকেরা।
মসজিদ,মন্দির আল্লাহ, ভগবান, আমাদেরই সংস্কৃতি।
জান থাকতে দিব না করতে ইচ্ছা মাফিক বিকৃতি।
ছুড়িস না কেউ, ছাড়িস না কেউ অযথা পেয়ে মিথ্যা ভয়।
পাশ্চাত্য বানিয়ে নয়,ওদের ব্যবস্থাপত্রেও নয়।
সক্ষমতা অর্জন করে দাড়াব মাথা তুলে সারা বিশ্ব ময়।
বাঙ্গালী নামে, বাংলাদেশ নামে জানুক বুঝুক সবে আমাদের পরিচয়।