বাঙালির বাংলা
আলী আমজাদ আল আজাদ


অফুরন্ত সবুজে দিগন্তের নেই শেষ,
ছায়াঘেরা মায়াভরা আমার বাংলাদেশ।
ঝিলের জলে শাপলা শালুক ভাসে,
মেঠো পথের দু’ধার সবুজ দূর্বাঘাসে। 


বটের ছায়ায় রাখাল বাজায় বাঁশি, 
ফসলের মাঠে কিষানের মুখে হাঁসি।
পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধ, 
পাখির কল-কাকলী সুরের ছন্দ।


কৃষকের ধানে আর রাখালের গানে, 
জুড়াই মন-প্রাণ নদীর কলতানে।
ফুলের সুবাস পাখির ডানায় ছড়ায়,
শিমুল কৃষ্ণচুড়ার রঙে মন ভরায়।


লালপেড়ে শাড়ি কানে দিয়ে দুল, 
চোখে কাজল খোপায় গাঁদা ফুল, 
আনন্দ উল্লাসে বৈশাখী মেলায় এসে,
দল বেঁধে ঘুরে, নাগরদোলায় বসে।


ইলিশ পান্তা খেয়ে রমনার বটমুলে, 
বাজায় ঢাক-ঢোল বাঙালি প্রাণ খুলে।
গ্রামবাংলার ঘরেঘরে আনন্দের বন্যা, 
কলসিকাকে নদীর ঘাটে যায় কন্যা।


কামার কুমার কিষান জেলে তাতি, 
হিন্দু মুসলিম বোদ্ধ খৃষ্টান জাতি।
যত সব ভুলত্রুটি হোক না ক্ষতি,
সব ভেদাভেদ ভুলে উল্লাসে মাতি।।