কারবালার কাহিনী
আলী আমজাদ আল আজাদ


কারবালা প্রান্তে,এজিদের বাহিনী
গড়েছিল সেইদিন ঘৃণ্যিত কাহিনী।
শুন শুন কাহিনীটা শুন মন দিয়ে,
কাহিনীটা হক্ব আর ভ্রান্তকে নিয়ে।


সেইদিন এজিদের দল ছিল ভারি
হুসেনকে তাই ঘর যেতে হয় ছাড়ি।
ভ্রান্তকে সায় দিতে হুসেনের প্রতি
এজিদের ভৃত্যরা করে নানা ক্ষতি।


শত বাঁধা-অনাচার,শত দুখ সয়ে,
হুসেনের চোখ ছিল সত্যের জয়ে।
তাই তিনি সৎ পথে ছিল অবিচল,
সাক্ষীদে কারবালা,ফুরাতের জল।


হুসেনের পরিবার,সখা-অনুসারী
শিশু-বুড় ছিল যত,যত ছিল নারী।
সেইদিন এজিদের নীল রোষনলে
হক্বপথে প্রাণ দিতে যায় দলেদলে।


হুসেনের দুধ-শিশু আলী আসগর
তীর বিঁধে প্রাণ দেয়,কি-যে বর্বর!
আলী আকবর যায়,যায় আব্বাস
কালো ইতিহাস ফেলে দীর্ঘশ্বাস।


এইভাবে হুসেনের দলে যারা ছিল
একেএকে সকলে প্রাণ দিয়ে দিল,
সবশেষে হুসেনকে যেতে হয় রণে
ত্রাস উঠে এজিদি সেনাদের মনে।


দিকহারা হয়ে তারা পিছু দেয় ছুট
চঞ্চল ঘোড়া নিয়ে,কেউ নিয়ে উট
কম্পন উঠে পুরো এজিদের দলে
ইতিহাস পুরোদমে সে কথাই বলে।


হুসেনের অদম্য বীর আয়োজনে
এজিদির ভয়ার্ত বাড়ে ক্ষনে ক্ষনে,
পরিশেষে শত্রুরা এক হয়ে ভাবে
হুসেনকে কি-ভাবে থামানো যাবে।


তারা সবে একত্রে ছুড়ে মারে তীর
হুসেনের দেহে শত তীর করে ভিড়,
সত্যকে হাতে রেখে হুসেনের গতি
এক পলকেরও লাগি নয় অবনতি।


শতশত এজিদির কেড়ে নিতে ধড়
তীর বিঁধে দেহো তাঁর হলো জর্জর,
তৃষ্ণায় ফাটে ফাটে হৃদয়ের ছাতি
লুটে পড়ে রাসূলের প্রাণপ্রিয় নাতি।


সত্যকে বুকে নিয়ে দিয়ে দিল প্রাণ
ছিল শুধু নবীপ্রেম হাতে কোরআন
আমাদেরও সেই পথ হোক পথ্য
যেই পথে আছে হুসেন,আছে সত্য।