মায়ের কান্না
আলী আমজাদ আল আজাদ
ছা পোষা এক দুঃখী মায়ের তিনটি ছেলে মেয়ে,
খোদার কাছে শুকরিয়া তার সন্তানেদের পেয়ে।
দুঃখ যা তার বলবে কারে নিত্য চলে সহে,
রোজ রাতে তার আঁধার বুকে অশ্রু পড়ে বয়ে।


কাজ করে খায় বাসা বাড়ি পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে,
সেসব বাড়ির বাসি খাবার আসতো বাড়ি নিয়ে।
সেই খাবারও খুব সহসা দেয়না প্রতিবেশী, 
কাজ করিয়ে নেয় তাহাকে দেখায় চোখের পেশী।


বাচ্চা গুলো থাকতে ঘুমে রোজ ছুটে যায় কাজে,
ফিরে আসে সন্ধ্যা যখন দু’তিন ঘড়ি বাজে।
অবসরের জীবন তাহার কবেই নিছে ছুটি,
বিশ্রামটা সে পায়না কভু জিরায় হাত পা দুটি।


শুক্রবারে বড়বাড়ির কাজটা আরও বাড়ে,
চাকরিজীবীর কাপড় কেচে ব্যাথা বাঁধায় ঘাড়ে।
রোজ রাতে তাই কান্না করে একাই মুখটা চেপে,
দুঃখ কাউকে না বলে তার বুকটা ওঠে ফেঁপে।


এক ছেলে তার কান্না শুনে বলল মাকে ডেকে,
কোন বিষে মা জ্বলছ তুমি কাঁদছ লুকায় রেখে?
ছেলের কথায় মায়ের চোখে বৃষ্টি হলো বন্যা,
বিয়ের আগে ছিলেন তিনি বাপ আদরের কন্যা।


বাসাবাড়ির কাজের চাপে বইছে ব্যাথা শিরে,
বলছে মায়ে নরম গলায় আস্তে ধীরে ধীরে।
একই আমি রোজই তো যাই ভিন্ন ভিন্ন বাড়ি,
সবাই এতই কাজটা চাপায় পাহাড়কে যায় ছাড়ি।


নতুন কাজের মানুষ ভেবে কাজটা বেশি চাপায়,
সবার বাড়ি সামলাতে এই প্রাণটা ওঠে হাঁপাই।
কেউ বোঝেনা এই আমি যে, প্রত্যহ কাজ করি,
একটা বাড়ি ছেড়ে আবার ভিন্ন বাড়ি ধরি।