সত্যের সাক্ষী
আলী আমজাদ আল আজাদ


নীল নভ তলে যমীন উপরে দাঁড়াইয়া বারে বার
আমি জোর আওয়াজে ঘোষিবারে চাহি আল্লাহু আকবার।


সৃজিয়া যে জন বিশ্বমাঝে অসংখ্য জীব প্রাণী
দিয়াছেন ঠাঁই ক্ষুধায় আহার করিয়া মেহেরবানী।
আমি তাঁরই গান গাই তাঁরই কৃপা চাহি সকাশে তাঁহারই ভাই
তাঁর মত আর বাদশাহ-সম্রাট দু’জাহানে কেউ নাই।


আসিয়াছি তাঁর ইবাদত তরে লভিয়া জনম হেথা
বিশ্ব জগৎ সৃষ্টি যাঁহার তিনিই তো করুণাদাতা।
শুধু আমি নই হেথা গড়িবার তরে সুখের তাজমহল
আমি নই ভবে ফুল শয্যায় বিছাইতে মখমল।


যত দিন হেথা বসতি আমার কাজ শুধু ইবাদত
প্রয়োজনে কেবল ব্যবহার করা অগণিত নে‘মত।
দ্বীন প্রতিপালন প্রচারভার শুধু মোর তরে
তাইতো প্রভু প্রতিনিধি করে পাঠালেন ভব পরে।


বিশাল বিরাট গগনটিরে দেখিতে কি মনোহর
চন্দ্র-সূর্য অগণিত তারা সাজিয়েছেন থরে থর।
সুশোভিত দেখি অতি মনোরম অপূর্ব অদ্ভূত
এতটুকু তার কোনখানে তাই নেই ভুল নেই খুঁত।


নিজ গতি পথে চলিছে সবাই যমীনে ফেলিছে আলো
সব যেন তাঁর নিয়মের দাস নেই কোন এলোমেলো।
পুঞ্জিত ঐ নীল আসমানে মেঘের মাদল বাজা
বারি বরিষণে মৃত মৃত্তিকারে করে রাখে তরতাজা।


শন্ শন্  শন্ সদা সর্বক্ষণ বহে চঞ্চল বায়ু
সৃষ্টির সবই তারই মাঝে বুঝি রাখিয়াছে পরমায়ু।
লতাগুল্ম বৃক্ষ-তরু অগণিত অগনন
লাখো সম্পদ ফসলের কথা কেবা করে নিরূপণ।
পাহাড় নদী পানি স্রোত ধারা সাগর-সমুদ্র মাঝে
গাহিছে তাঁহারই গুণ-মহিমা সকাল বিকাল সাঁঝে।


জীব-জন্তু, পশু-পক্ষী দেখি হেথা বেশুমার
দৃশ্য-অদৃশ্য যত কিছু আছে সকলই সৃষ্টি তাঁর।
লৌহ ইস্পাত তামা কাসা চাঁদি পিতল দস্তা শিশা
হিরা জহরত মণি ও মুক্তার ঝলকে লাগায় দিশা।


তেল পেট্রোল কয়লা লবণ গন্ধক গ্যাস কত
রাখিছেন প্রভু যমীনের নীচে খনি মাঝে অগণিত।
যত কিছু সব তাঁহারই সৃষ্টি তাঁহারই এ অবদান
তাঁহার কীর্তি গুণ মহিমা যে কখনও হবে না ম্লান।


দু’জাহান মাঝে যত কিছু আছে সকলই সৃষ্টি তাঁর
হইতে পারে না তিনি ছাড়া যে কেউ স্রষ্টার দাবীদার।
তিনিই মহান তিনিই শ্রেষ্ঠ তিনিই প্রজ্ঞাময়
যাঁর হাতে গড়া বিশ্ব ভুবন তাঁর হাতে ক্ষয় লয়।


আমি তাঁহারই গোলাম শ্রেষ্ঠ মানুষ নির্ভীক সৈনিক


প্রচারিতে তাঁর গুণ মহিমা যে ছুটে চলি দশ দিক।


আমি মানি না কাহারো শাসন বারণ ধমকে থামি না কভু


মুজাহিদ আমি শ্রেষ্ঠ জগতে আল্লাহ আমার প্রভু।


আমি শ্রেষ্ঠ মানুষ শ্রেষ্ঠ নবীর হইয়াছি উম্মাত


তাই বল আছে শক্তি আছে বড় হিম্মৎ।


তাওহীদ বাণীর প্রচারক আমি বিশাল ধরিত্রির


বলি উচ্চৈঃস্বরে হায়দারী হাঁকে নারায়ে তাকবীর।


***