মহা প্রজা-পতি বুঝিনা তোমার মতি গতি
দিনের কথা ভুলে যাও,এলে আঁধার রাতি ॥


সবার মনে জোয়ার এনে
ভাসিয়ে দাও খুশির বানে
পরক্ষনে ডুবাও দমকা টানে,বুঝিনা তোমার মতি॥


প্রজাপতি প্রজাপতি কেন কর প্রজার ক্ষতি ?
দিনের কথা ভুলে যাও ,এলে আঁধার রাতি ॥


(তুমি কাদঁলে যারা কাঁদে, হাসলে যারা হাসে ,
তুমি শুধু কথায় কথায় ,লড় ওদের পাশে )।
যারা অকারণে ধন্য বলে
তাদের আসন আঁচল তলে
অন্যদের রাখ রোদে জলে , তোমার এ কোন নীতি ? ॥
৥৥৥৥৥৥৥৥৥


প্রজাপতি


প্রজাপতি প্রজাপতি,কেন কর প্রজার ক্ষতি ?
দিনের কথা ভুলে যাও,এলে আধাঁর রাতি ॥


সবার মনে জোয়ার এনে
ভাসিয়ে দাও খুশির বানে
পরক্ষনে ডুবাও দমকা টানে,বুঝিনা তোমার মতি॥


তুমি কাদঁলে যারা কাঁদে,হাসলে যারা হাসে,
তুমি শুধু তাদের কথায়,লড় ওদের পাশে ।


যারা অকারণে ধন্য বলে
আসন দাও আঁচল তলে
পড়শী রাখো রোদে জলে,তোমার এ কোন নীতি?॥


২১-০৫-২০০০
বাসা,শ্রীবরদী,শেরপুর।।




ওগো প্রজাপতি(রাজা),কেন কর প্রজার ক্ষতি?
দিনের কথা ভুলে যাও,এলে আঁধার রাতি ॥


সবার মনে জোয়ার এনে
ভাসিয়ে দাও খুশির বানে
পরক্ষনে ডুবাও দমকা টানে,বুঝিনা তোমার মতি॥


প্রজাপতি প্রজাপতি কেন কর প্রজার ক্ষতি ?
দিনের কথা ভুলে যাও ,এলে আঁধার রাতি ॥


(তুমি কাদঁলে যারা কাঁদে, হাসলে যারা হাসে ,
তুমি শুধু কথায় কথায় ,লড় ওদের পাশে )।
যারা অকারণে ধন্য বলে
তাদের আসন আঁচল তলে
অন্যদের রাখ রোদে জলে , তোমার এ কোন নীতি ? ॥


প্রজাপতি প্রজাপতি কেন কর প্রজার ক্ষতি ?
দিনের কথা ভুলে যাও ,এলে আধাঁর রাতি ॥


প্রজাপতি = রাজা



তোর জালা জ্বলে মরি
তোর নেরেই পুড়লো ঘর ।।
*******
২৬-০১-২০১৯
মাগে কেন তুমি আর ডাকোনা
মাগে কেন তুমি আর চোখ তুলে দেখোনা ।।


আর দুরে দুরে থেকোনা
কেন আার বকোনা ||
#######
সুন্দর ভূবনে বেঁচে থাকার নব আশা সম্ভারে
তোমার ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় মেলি পেখম নীলাম্বরে
কাশফুলের পাপড়ী হয়ে ভেসে বেড়ায় তেপান্তরে
খুশীর জোয়ার স্বপ্ন ছড়ায় অন্তরে মোর অন্তরে ।।
***********
তুমি মিশে আছো আমার
সুনীল আকাশ জুড়ে
আমিও তাই স্বপ্ন সাজাই
বাঁচি দিগন্তের অম্বরে
সুখের ভেলায় ভেসে বেড়ায়
আলোর মেলার অন্তরে ।।
#######      
                      চঞ্চলা চপলা সারাবেলা চাঁদনী রাত
                      দু’জনে একসাথে হাতে রাখলে  হাত
                      আলতো ছোঁয়ায় ছোঁয়ায় হই তন্দ্রাহারা
                     মুগ্ধ আমাদের পৃথিবী মুগ্ধ চাঁদ তারা ।।
###########
দুটি মন ঠাঁই দাড়িয়ে জীবনের স্বপ্নগুলো এক হয়ে
অন্তহীন পথচলার সঙ্গী আশায় বাধি বসতি নির্ভয়ে
তোমার আমার আকাশ মিশেছে দুর পাহাড়ের সীমানায়
আমি মিশেছি সৌষ্ঠব হাতের আলতো পেলব ছোয়ায় ।।
******
আমার সারা হৃদয়জুড়ে নেচে উঠেছিল এক আনন্দ অনুভূতি ।
চোখে মুখে পরিস্ফুটিত ফুলেল ভালোবাসার পরিচিত পৃথিবীর সুনীল আকাশে ভেসে
বেড়ানো এক খন্ড সাদা মেঘ।মৃদ-মন্দ বাতাসে নেচে চলা এক জোড়া ময়ূর-ময়ূরী।
মনে কামনার প্রচন্ড ঝড় বয়ে যায়।ইচ্ছে করেছিল নিবিড় আলিঙ্গেনে আমার মাঝে মিশিয়ে


একটি গল্পের সংক্ষিপ্ত অংশ বিশেষঃ


*তৃণার ভাবনা*
তোমার জন্য একটি কবিতা লিখেছি।কথাটি বলেই হৃদয় জুড়ানো আবেগের সবটুকু ঢেলে
দরাজ কন্ঠে আবৃতি শুরু করেছিল।বাধ্য শ্রোতা হয়ে অপার বিস্ময়ে মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে অনুপম আকর্ষণে শ্রবণ করেছি সেই মন্ত্রমুগ্ধ অমীয় ধ্বনি। কী যে আবেগ !
আজও মনোবীনায় ঝংকৃত হয় সেদিনের অমৃতবাণীর সুললিত কন্ঠাশ্রিত সুর।কখনো কখনো নিজের অজান্তেই বিরবির করি সেদিনের গীতিকবিতাটি নিয়ে।কিন্তু পরক্ষনেই ভয়ে গা শিহরে উঠেিএত সুন্দর কথাগুলো যে বলতে পারে,তার মনটা কেন অন্যরকম হবে, এত হিংস্র হবে।হায়রে কবিতা! কেন সেদিন পড়েছিল এই গীতিকবিতাখানি-।মুখটি এখন আবছা আবছা মনে হলেও -ভুলে যাইনি কথাগুলো --


তৃণার ভাবনা বারবার ফিরে
আসে হৃদয় গভীরে
কিযে রতন লুকায়ে রেখেছো
তোমার মনের মাজারে।।
তুমি মিশে আছো আমার
সুনীল আকাশ জুড়ে
আমিও তাই স্বপ্ন সাজাই
বাঁচি দিগন্তের অম্বরে
সুখের ভেলায় ভেসে বেড়ায়
আলোর মেলার অন্তরে ।।
পূর্ণিমার চাঁদের টানে সাগর
ভাসে ভরা জোয়ারে
রতনে মানিকে অথৈই জলরে
নিশ্চিন্ত তোমার নোঙরে
সেই জোয়ারে বিনা ডরে
তরী ভরি মণিহারে ।।
তুমি শ্রাবনের অলস দুপুরে
রিমঝিম বৃষ্টি ধারায়
পাগল করো উদাস করো
তোমাতে আমি হারায়
হারানো সব খোঁজে পায়
তোমার হৃদয়ের করিডোরে ।।...
####
আবৃতি শেষ হতেই -আমার সারা হৃদয়জুড়ে নেচে উঠেছিল এক আনন্দ অনুভূতি ।
চোখে মুখে পরিস্ফুটিত ফুলেল ভালোবাসার পরিচিত পৃথিবীর সুনীল আকাশে ভেসে
বেড়ানো এক খন্ড সাদা মেঘ।মৃদ-মন্দ বাতাসে নেচে চলা এক জোড়া ময়ূর-ময়ূরী।
মনে কামনার প্রচন্ড ঝড় বয়ে যায়।ইচ্ছে করেছিল নিবিড় আলিঙ্গেনে আমার মাঝে মিশিয়ে নেই ...........।
আবীর তোমাকে আজ দারুন খুশী খুশি লাগছে......।অফিস থেকে কোন এওয়ার্ড পেয়েছো নাকি?কোন কথার জবাব না দিয়েই হনহন করে ওয়াশ রুমে ঢুকে যায়।মিনিট পাঁচেক পরে ওয়াশ রুম থেকে বেড়িয়ে এলে কাধেঁ হাত রেখে কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলি,আচ্ছা আবীর চলনা আজকে আমরা ডাক্তারের কাছে যাই।


মূর্হূতেই ভয়ংকর পরিচিত রূদ্ররূপ বেড়িয়ে আসে ওর মুখাবয় থেকে।ভয়ে জড়োসড়ো হয়ে,হাতের কাছ থেকে দূরে সরে যাই।
চিৎকার করে বলতে থাকে,আমাকে কী তুমি অসুস্থ্য মনে কর,আমি কী পাগল?
সামনে দাড়িয়ে কোন কথা বলার আর সাহস হয়নি।
অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে শয়নকক্ষ থেকে বেড়িয়ে ডাইনিং চেয়ারে গিয়ে বসি ।
দ্রুতবেগে ডান হাত উঁচু করে আমার দিকে তেড়ে আসে।শেষ পযর্ন্ত  নিজেকে রক্ষা করতে পারি নাই।ধাক্কা খেয়ে শোকেসের গ্লাসে পড়ে যাই।ঝনঝন করে গ্লাস ভেঙ্গে যায় ।ফিনকি দিয়ে বাম হাত থেকে রক্ত বেড়িয়ে আসে।চিৎকার করে কাদঁতে ইচ্ছে করেছিল।কিন্তু ভয়ে কাদঁতে পারি নাই।দরজায় প্রচন্ড শব্দ করে ধুমকেতুর বেগে আবীর রুম থেকে বেড়িয়ে যায়।
চল্লিশ মিনিট পর রুমে ঢুকে বলেছিল,উঠো নিচে এম্বোল্যান্স অপেক্ষা করছে ।
মাথাটা ঘোরে উঠে।যার হদয়ে আমার জন্য এত প্রণয় ভান্ডার। তাকে কিভাবে আমার অস্তিত্য থেকে আলাদা করার কথা ভাবি।
##**##


ঈদের ছুটির পর আজ মেডামের সাথে প্রথম দেখা ।
জানেন,চেয়ারম্যান মেডাম আজ কি পড়ে এসেছেন ? মৃদহেসে উত্তর - গোলাপী শাড়ী । শুধুই গোলাপী শাড়ী । আর কিছু না ।
৮৪ বছর প্লাস বয়সে উনার তারুন্য দেখেছেন।মাথায় তাজা গোলাপ।ম্যাচিং করে শাড়ীর সাথে খুব সুন্দর একটি স্টোনের বড় ক্লিপ।হাতের আংগুলে কতগুলো রিং ।
---- মেডাম ফুল খুব পছন্দ করেন।
আর লিপস্টিক ?
আবার হাসি ------- আপনি এত খেয়াল করেন?
দেখুন চোখদু’টি দেখার জন্য।আর মন হৃদয়াঙ্গমের সাথে অনুভব করার জন্য।
########


কেমন আছেন ?
.........।।
কি অসভ্যতা হচ্ছে ।
আপনি যতক্ষন আমার প্রশ্নের উত্তর না দিবেন ততক্ষণ এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতর মুখোমূখি হতেই হবে ।
আর এটাও জানি আমি যা চাইবো যেভাবে আমার চাওয়া পাওয়া কোন অপূনতা থাকবেনা,আপনি রাখতে পারবেনও না  ।
আপনি কোন বাধা দিতে পারবেনা এবং বাঁধা দিবেন না । কিন্তু আমি আমার লিমিট কক্ষনো অতিক্রম করবো না।তা আমার নিজ দায়িত্ব থেকেই করবো না। আমারও আলাদা একটা জীবন আছে । তা অবশ্যিই আমার


######
আবীর এখন ইউ এস বাংলা এয়ার লাইনে।কয়েক মাস যাবৎ আমাদের আর দেখা হয় না। কোর্টে ডিভোর্সের মামলা চলছে।তারপরও মাঝে মাঝে যখন ওর ফেসবুকের স্ট্যাটাস পড়ি তখন সমস্ত হৃদয় জুড়ে একটা ঢেউ বয়ে যায়।মনে হয় সুদর অস্টলিয়া উপকুলে যে প্রমত্ত ঢেউয়ের উৎপত্তি তা সমম্ত প্রসান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে তীব্র শক্তি সঞ্চয় করে আমার দিকে ধেয়ে আসছে।পথে শ্রীলংকা উপকূলে সৃস্ট প্রলয়ঙ্করি ঘুণিঝড়ের সাথে মিশে প্রচন্ড ধ্বংশাক্ত শক্তি নিয়ে আছড়ে পড়েছিল বাংলাদেশ নামক তৃণার হৃদয়ে।এত ... কস্ট সহ্য করার শক্তি আমার নেই।বেলাভূমি থেকে অনেক দুরে ভোরে গজিয়ে উঠা কচি তৃণা বালি চাপা পড়ে মুর্হূতেই।সকালের সোনার আলোয় উদ্ভাসিত করতে চেয়েছিলাম সারা পৃথিবী।চিকিৎসা বিজ্ঞানের ছাত্রী হিসাবে অনেক স্বপ্ন ছিল,ছিল সার্মথ্য। কিন্তু কোথায়
যে সব হারিয়ে গিয়েছে সেদিনের স্বপ্ন।যখন পিছন পিছন চলা আধো পরিচিত মানুষগুলোর ফিসফিস কথা কানে আসতো “ ডাক্তার-ইন্জিনিয়ার দারুন কাপোল”। বাক্যটি অস্পস্ট হলেও যতটুকু কানে আসতো তাতেই শত আনন্দে গর্বে বুকটা ভরে যেতো।হৃদয় গভীরে জমাট বাধাঁ বরফ আজো অপ্রকাশিত ঘটনাবলীর কারণে আমার
সমগ্র পৃথিবীটাই বদলে গিয়েছে।পেন্ডুলামের কাটা হয়ে দুলছি ।
নেপালে বিমান দূর্ঘটনার সংবাদ শোনার পর থেকেই অস্থির লাগতে শুরু করে।কার কাছ জানতে চাইবো ফ্লাইটে আবীর ছিল কিনা?।হয়তো এই ঘটনা আরো কিছুদিন আগে ঘটলে আমার কাছেই প্রথম কল আসতো।হয়তো সমুহ বিপদ ঘটার সম্ভবনা আচঁ করতে পারলেই  টেক্স করতো“খুব বিপদে আছি দোয়া করো ”।অল্পদিনেই ফ্লাইট ইন্জিনিয়ার হিসাবে অনেক সুনাম অর্জন করেছে।


###
হালকা বৃস্টি মাথায় নিয়েই অফিস থেকে বের হয়েছি।ইফতারের খুব বেশী সময় আর বাকি ছিলনা।ভেবেছিলাম কাছাকাছি কোন রেস্টুরেন্টে বসেই ইফতার সেরে নেব।বসার মতো ফাঁকা জায়গা কোথাও পাইনি।ময়ুখকে বলেছিলাম আজকে হয়তো রাস্তায় দাড়িয়েই ইফতার করতে হবে।সারাদিনের গম্ভীরভাবটা অফিস থেকেই বের পর থেকেই একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়েছে।সারাদিন অফিসে অনেক ঝামেলার মধ্যে ছিলাম। জানি স্টার কাবাবে এখন কোন জায়গা ফাঁকা পাওয়া যাবে না।তারপরও সেখানে গিয়েছিলাম।একতলা,দুইতলা ও তিনতলায় কোথায় দাড়ানোরও জায়গা নেই।তিনতলায় কোন একটি সংঘঠনের ইফতার পার্টি চলছে । ওদের সাথে বসতে গিয়ে আবার চলে এসেছি।একতলা থেকে তিনতলা কয়েকবার উঠানামা করতে করতে গরমে ঘেমে সারা শরীর ভিজে একাকার।মসজিদের মাইক থেকে মাগরবিরে আজান ভেসে আসছে।বসার জায়গাও পাইনি কোন ইফতারও কিনতে পারি নাই।ময়ুখের ব্যাগে কিছু খেজুঁর ছিল।তা মুখে দিয়ে রোজা ভেঙ্গেছি।তারপর কিছু ইফতার কিনে আবারও জায়গা খোঁজতে থাকি। শেষে দু’তলায় একটা গ্রুপের সাথে বসে আমাদের প্যাকেট বের করতেই,ওরাও দুইটি প্লেট এগিয়ে দিয়েছিল।বারবার না করার পরও বলল এগুলো নিন। আমাদের কোন সমস্যা হবে না। বেশী হয়েছে।বেশ কয়েকজন জ্যামের কারনে আসতে পারে নাই। অবশেষে তাদের ইফতার নিতেই হয়েছেে।আইটেম এতবেশী ছিল যে দুইজনে মিলেও শেষ করতে কস্ট হয়েছে। গরমের কারনে দ্রুত খাওয়া শেষ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে এসেছি। তারপর তিন নম্বর রোড় ধরে হাঠতে থাকি এমন জায়গার খোঁজে যেখানে বসে চা পান করা যায়।


বেঞ্চ থেকে পড়ে যাচ্ছি......।
পাশাপাশি বসে চা পান করেছি।ময়ুখ উঠে দাড়িয়ে ওর কাপটি রাখতে যাওয়ার সাথে সাথেই বেঞ্চটির এক মাথা উপরের দিকে উঠে যায়।আমিও উল্টে পড়ে যাচ্ছিলাম।।। কিন্তু খপ করে হাত বাড়িয়ে ওভাবে পিঠে না ধরলে তো পড়েই যেতাম । পিঠে হাতটি পড়তেই সারা শরীরে একটি শিহরণ বয়ে যায়।
ময়ুখ দুস্টুমির করে বলেছিল,”দুজনের মাঝে ঐ রকম দুরন্ত থাকলে বিপদ হতে পারে”।।
ওর হাতটিকে মনে হয়েছিল,শক্ত জমিনের উপর শির সোজা করে দাড়ানোর একটা মজভুত ভিত্তি।  খোঁজে পাই।অফিসে যারা ইফতার করেছে তারা এখন এ পথ দিয়ে অনেকেই যাবে।এখানে আর বেশীক্ষন বসে থাকাটা সমীচিন নয় ভেবে উঠে পশ্চিম দিকে হাঠতে শুরু করেছিলাম। রাত আটটা পযর্ন্ত এদিক সেদিক ঘোরাফেরা করে বাসার দিকে রওনা হয়েছিলাম।
বাসায় ফেরার তাড়া কমছিল।বাসায় কেউ নেই। সবাই ইফতারের দাওয়াতে গুলশান গিয়েছে।
সকালে সালাম দেওয়ার পর প্রতি উত্তরটি অন্যদিনের মতো হাসি মাখানো ছিলনা।
রাতেই আশংকা করেছিলাম ওর মন  একটু ভার থাকতে পারে । কিন্তু এতটা গম্ভীর থাকবে তা ভাবনাতেই ছিল না।


মিটিং থেকে ফিরে টেবিলের সামনে দাড়ানো দেখে গত রাত থেকে শুরু হওয়া রাগ মর্হুতেই পানি হয়ে য়ায় ।
##########
রাস্তা পারাাপার।হঠাৎ দূর্ঘটনা।উপর দেখা দেখতে দ্রুত রাস্তায় নেমে আসে।
পায়ে একটু ব্যাথা পেয়েছে।আসার সময়ই গার্ডকে বলা ছিল একটা হুইল চেয়ার আনার জন্য।ধরে হুইল চেয়ারে বসিয়ে চট জলদি ইমার্জেন্সী। তৃণাকে দেখেই ইর্মাজেন্সী স্টাফরা বলে উঠেন, কী মেডাম কোথায় কিভাবে এসিডেন্ট ? না তেমন কিছু হয়নি । একটা ছোট্ট বাচ্চা রিকসার সাথে ধাক্কা খাচ্ছে দেখে ওকে সেইফ করতে গিয়ে.........।এমন সময় একটি প্রাইভেট কার সজোড়ে ধাক্কা দিয়েছে।আল্লাহর রহমতে ছোট্ট ছেলেটির কিচ্ছু হয়নি একটু শুধু ভয় পেয়েছে ।।  


মোবাইলে তখনো ময়ুখের সাথে কথা বলছি ।
এমন সময় একটি টেক্স ল্যাবটবের স্ক্রিনে ভেসে উঠলো “আপনাদের বিবাহ বিচ্ছেদ আইনগতভাবে অবৈধ”।


ও  মাঝে মাঝে দুস্টুমি করে  আবৃত্তি করতো ......


তৃষার চোখের মায়াবী পলক
টোল পড়া গালের...  ঝলক
তৃষায় তৃষিত হয়ে .........
আমি থামিয়ে দিয়ে বলতাম  ‘আমি তো তৃণা “
আরে জানি লক্ষিসোনা ... তৃণার জন্য তৃষিত হৃদয় ।
**********
০৭-০৪-২০১৮


ময়ূখ......  অনামিকায় একটু ছোয়া লাগতে সারা  শরীর...।। শিহরণ জেগেে উঠে । চোখ পড়......।।চোখের দিকে । মায়াবি মুখটা আরো মায়াবী হয়ে ... ভালোবাসতে আহবান জানায় ।  
টোল পরা গালের ঢেউ ছড়িয়ে পর......... ।


হাসি মাখা মুখে জানতে চায়। ওমন করে, কী দেখছেন ? কছিু দেখছিনা ভাবছি ।


সোহাগের খবর কী ? প্রশ্ন করতেই......। হাসি খুশী ভরা মুখটিতে বিষাদের ছায়া এসে ভর করলো ।


অফিসের কাছেই বাসা । কাজ শেষে বাসায় না গিয়ে ...... আসে পাশের দাড়িয়ে থাকা গাছ গুলিতে অনেক পাখি এসে রাতের আশ্রয় খোঁজে নেয় । কিচির মিচির পাখীর ডাক শুনে শুনে আর হেড ফোনে গান শুনে অপেক্ষার প্রহর ......।।


সময়টা  এমন ছিলনা । এইতো দুই বছর আগেও ধানমন্ডীর বাসা.........।
বিয়ের পর দুজনের ছোট্ট সংসার.........।
মাঝে মধ্যে রাত গভীরে লং ড্রাইভ-এ অজানা গন্তব্যে বেড়িয়ে পড়া। রাস্তার ধারে গাড়ী থামিয়ে বড় ফ্লাক্স এর চা বিক্রেতার কাছ থেকে চা পান করা। আবার কখনো বট-পরাটা খেয়েছি।  


শূক্রবারে অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠতাম। রাতের সুখানুতি কাটতে  অনেকটা বেলা
গড়িয়ে যেত । আলসামো ভেঙ্গে বিছানা ছাড়তে ইচ্ছে করতো না ।সারা সকাল শরীর জুড়ে আবীরের আবীর মাখানো সিগ্ধ পেলব লেগে থাকতো । নাস্তার টেবিলে ঝিমুনি ভাব নিয়ে কিযে খুনসুঠি হতো দুজনে । হাসতে হাসতে গায়ের উপড় ঢলে পড়তাম। হালাকা করে দু গাল ছুঁয়ে দিতো পরম মমতার মাধকতায়  ।        
                ==== ##===