ওরে ফাগুনের মন মাতানো মাতাল হাওয়া
কেন বয়ে যাস এই হৃদয়ে দোলা দিয়ে,


যে হিয়ার মাঝে অনলের আসা যাওয়া
কেন তুষের আগুন অজান্তে দিস বাড়িয়ে?


বসন্তের স্নিগ্ধতার মতই নির্মল ছিল এ মনের গভীরতা
সেথায় বিরাজমান ছিল উচ্ছাসিত পাখিদের কোলাহল?


অঙ্কুরিত জীবন পেয়েছিল অসীম মমতার মানবিকতা
কতই না মসৃণ ছিল আমার গন্তব্যের চলাচল।


অভিলাষী আমি গভীর আবেগে সাজিয়েছিলাম আমার চারপাশ,
অস্বীকার করেছি তাই অনাগত সকল অনাদরের পূর্বাভাস।


কোন অশুভ ছায়া ছিল না আমার অশান্ত ভালোবাসায়,
তবু কেন নীড়ে ফেরা পাখিরা অভিমানে হারিয়ে যায়।


জানিনা কোন ভ্রান্ত লগ্নে আমার সাজানো বাগানে,
সূচনা হয়েছিলো বিষাক্ত পতঙ্গের আগ্রাসন।


পরিপূর্ণ হয়েছিলো অযাচিত শত্রুসম বন্ধুগনে,
সময়ের বৈরীতায় স্পষ্ট হয় ধ্বংসযজ্ঞের আগমন।


এই সুসজ্জিত বাগিচার পতনে কতটা সুখী তুমি
কেন আনন্দের বিজয় মিছিলে শামিল হলে?


এমন কুৎসিত চক্রান্তের কবলে নিঃশেষ হলাম আমি
তবুও যেন হিংস্রতার আগুন দাউ দাউ করে জ্বলে।


শত ধিক্কার জানাই তোমার এই নারকীয় ঘৃণ্য হৃদয়কে
জানি একদিন ধ্বংস হবেই দীর্ঘশ্বাসের অভিশাপে,


প্রায়শ্চিত্তের আশায় খুঁজে বেড়াবে আমার অস্তিত্বকে
নরকের পানে পৌছে যাবে পাপের প্রতিটি ধাপে ধাপে।