ছুটে চলেছি আমি পৃথিবীর কণ্টক পথে
অদৃশ্য অজানা গন্তব্যের পানে,
পৃথিবীর মহে পড়েছে এ পথচলা
পৃথিবীকে আপন করার আকুল বাসনা।


কোন পৃথিবী আপন আমার?
যে পৃথিবীর পথে শুধুই হোঁচটের ভয়
তবু সে পৃথিবীর মায়া বুকে চেপে রয়।


সেই পৃথিবী যা আলো বাতাসে পরিপূর্ণ,
আর আমার পৃথিবী
যেন আঁধার অরণ্য।


কোন পৃথিবীর মায়ায় ছুটেছি অবিরত,
যে পৃথিবী মোরে ছুঁড়ে ফেলে প্রতিনিয়ত।
কোন পৃথিবীর মানুষ আমায়
বাঁচার সপ্ন দেখায়?
অসীম কষ্টের ভার যারা
আমার কাঁধে চাপায়।


পথ পাড়ি দেই আমি সেই পৃথিবীর তরে
যে নির্বাসন দিলো আমায় নির্জন বালুচরে।


শূন্যের পানে ছুটেছি আমি
সব পিছুটান ভুলে,
সব হারানো পথিক আমি
ক্লান্ত পায়ে পথ চলে।


শূন্যের পানে এই পথচলার
হয়তো নেই কোন শেষ,
ক্লান্ত তনুর বক্ষে নামবে অন্তিম নিঃশেষ।


সেই অদ্ভুত অমোঘ সময়
হাতছানি দিয়ে ডাকছে কল্পময়,
হ্যাঁ বন্ধু, দেরি নাই আর বেশী,
ম্লান হয়ে আসছে সকল হাসি খুশি।


শেষ হয়ে যাচ্ছে এ পথচলার আনন্দ,
ক্লান্ত হৃদয়ের এখন বিশ্রামই পছন্দ।


না, কোন অভিযোগ রেখে যাবো না
রেখে যাবো না কোন সৃতি,
দীর্ঘ পথচলার এই যবনিকায়
নাই বা খুঁজলাম লাভ-ক্ষতি।


কি হবে সেই পৃথিবীকে করে অভিযোগ
জীবনের হিসেবে যার কেবলই বিয়োগ।
কি হবে সেই পৃথিবীকে করে দোষারোপ
প্রতিনিয়তই আমায় যে করেছে বিদ্রূপ।


বিদায় ক্ষণে গ্রহন কর হে,
আমার স্নিগ্ধ হাসি,
জানি তবু বাজবেনা তোমার
নিঠুর প্রানের বাঁশি।


                              (রচনাকাল- ২৭/০৩/২০০৭)