অধরা, সে কি আজও অধরা
         যেন শ্রাবণের বারিধারা,
অধরা, কাঁদে যেন কোন সুখে
যেন হাসে আমার দুঃখে।


অধরা, তুমি কি আজও ভাবনি
         জীবনে  তোমার এসেছে যবনি,
         তোমার চলার পথ সেতো আঁকাবাঁকা
অধরা, তুমি সত্যিই বড় বোকা।


অধরা, কিসের এত অহম
আঁচলে তোমার ঢাকে শরম,
আকাশের তারার মতই উজ্জ্বল
নয়নে তোমার অশ্রু ছলছল।


অধরা, চেনো কি তুমি সত্যিই মোরে
আমি সেতো ছিলাম তোমারই বাহুডোরে।
        একা এক এই পথ চলা
সেতো মোর নয় কোন জ্বালা।


অধরা, জানিনা তোমায় কোন ক্ষণে
আমার একান্ত আপনজনে
ঠাই দিয়েছি এ মনে
রোদ মাখানো কোন সোনালী দিনে
পাখিডাকা কোন এক স্নিগ্ধ বনে।


অধরা, কেন শুধু শুধু করেছো ছলনা
ছলে বলে দিয়েছ যাতনা,
তুমি সত্যিই অদ্ভদ ললনা।


অধরা, চেয়ে দেখো ঐ তটিনীর জল টলমল
তোমার অশ্রুর ন্যায় ছলছল
সৃতি গুলো আজও জল জল
তোমার চাহুনির মতই নির্মল।


অধরা, আসমানের ঐ তারার মেলা
করেছিলে তুমি অবহেলা
সবই ছিল নিয়তির খেলা
দিয়েছ কেবল শুধুই জ্বালা।


অধরা, তোমার কোলে রেখে মাথা
ভুলেছি আমার শত ব্যাথা,
আবেগী রাতের সেই চুম্বন
শিউরে উঠে দেহ মন
তুমি ছিলে শুধু আমারই তখন।


অধরা, চাইনি আমি কিছুই তোমার
করেছো তবু সবই উজাড়।
চুপি সারে এসেছিলে বারবার।


অধরা, সৃতিগুলো মোর বড়ই দামী
জেনো তোমায় ভুলবো কভু আমি,


অধরা,  মোর ডাকে দিলে সাড়া
সারাটি জীবন আমি ছাড়া
পায়নি কেউ তোমার ধরা,


অধরা......তুমি সত্যিই...........অধরা।



                                          রচনাকাল - ২৬/০২/২০০৩