শিশু কিশোর পেরিয়ে আজ
হয়েছি প্রবীণ,
কর্ম শক্তি হারিয়ে হলাম
অর্থ সম্বল হীন।
জমি জমা নাই তো আমার
কামলা খেটে খাই,
দুঃখের জ্বালা কইমু কা’রে
বান্ধব ভবে নাই।
চোখের দৃষ্টি কমে গেলো
দাঁতে ব্যথা দারুণ,
ক্ষুধা মন্দা কমর ব্যথা
নড়বড়ে দু’ চরণ।
মাথার চুল সাদা হলো
দেহ কঙ্কাল সার,
কণ্ঠের স্বর ক্ষীণ হলো
কেউ ধারে না ধার।
শোনতে পাই না কারও কথা
বধির দুই কান,
জ্ঞান-বুদ্ধি কমে গেলো
দেয় না কেহ দাম।
অন্ন বস্ত্রের নাহি সংস্থান
দুঃখ কষ্ট পাই,
যহ্মা রোগের রুগী আমি
অন্ধের যষ্ঠি নাই।
নবীণ অমি প্রবীণ আজ
কত দুঃখ ব্যথা,
কখন বুঝি আত্মারামটা
কেড়ে নিবে খোদা।
বর্ষার জলে ভেঙ্গে পড়লো
জীর্ণ ঘর বাড়ি,
তিন কন্যা আর স্ত্রীকে নিয়ে
করি আহাজারী,
গৃহ হারাই ঘুরে বেড়াই
কোথাও নাহি ঠাঁই,
ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে
গর্তে পড়ে যাই।
ভাগ্যক্রমে এন-জি-ও কর্মী
ছিলো সে রাস্তায়,
গর্ত থেকে তুলে এনে
বাড়িতে পৌঁছায়।
সেই থেকে তাদের কাছে
বৃদ্ধ ভাতা পাই,
তাই দিয়ে আল্লাহ রহম
সংসার চালাই।
নয়তো আমি উপোষ থেকে
মরে যেতাম হায়!
আল্লাহর ইচ্ছা কোন মতে
দিন কেটে যায়।
কন্যা দায়ে অস্থির হলাম
যেন নিরুপাই,
যৌতুক ছাড়া মেয়ের বর
কোথাও নাহি পাই।
কন্যা চিন্তা দারুণ নিন্দা
বিষ খেতে যাই,
সমাজ সেবক তিন যুবক
হঠাৎ খোঁজে পাই।
সমাজ সেবক এমন যুবক
এসে বলে সেচ্ছায়,
তিনজন মিলে তিন মেয়েকে
বিয়ে করতে চায়।
অন্ধের যষ্ঠি তিনটি কষ্টি
সুখে দিন কাটাই,
আল্লাহর শানে ত্রিভূবনে
অসাধ্য কিছু নাই।