নির্বাচনী নীতিমালা


নির্বাচনী গরম হাওয়া,
গ্রাম গঞ্জে কোলাহল,
দিন রাত  মিছিল মিটিং,
মহানন্দে বিহব্বল।
স্বাধীন জাতির স্বাধীকার,
সময় এলে নির্বাচন,
যত নিষ্ঠাবান কর্মবীর,
পেলে ভালো মনোনয়ণ।
দেশ গড়ার অঙ্গীকার যার,
হতে হবে সুশিক্ষিত,
এ রূপ আইন দেশে যেন,
থাকে সদা প্রতিষ্ঠিত ।
শিক্ষা দীক্ষায় মহান ব্যক্তি,
আসন সবার উর্ধে,
সে যেন পায় মনোনয়ণ,
দেশের লোকের স্বার্থে।
প্রবীণ বিজ্ঞ আইন জীবি,
ধর্ম ভীরু নীতিবান,
দেশ সেবার সুযোগ পেলে,
দেশ হবে মহিয়ান।
দেশ দরদী ভালো মানুষ,
পরিচয় তার কর্মে,
স্বার্থত্যাগী মহৎ ব্যক্তির,
আসন সবার মর্মে।
দেশে আছে হাজার হাজার,
জ্ঞানী গুণী বিচক্ষণী,
স্বার্থন্বেসীর আস্ফালনে,
পায় না তারা সম্মানী।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড,
বিকল্প তার হয় না,
মূর্খরা হয় পালের গোদা,
শিক্ষিত স্থান পায় না।
বিড়ালের গলায় চন্দ্রহার,
দিতে বাধ্য জনগণ,
কোন যুক্তিতে মূর্খ থাকে,
সম্মানে উচ্চ আসন?
সনদ না্ই ম্যাডিক্যালের  ,
সে নয় চিকিৎসক?
শিক্ষা দিক্ষার বলাই নাই,
সে কেমন প্রার্থক?
শিক্ষা অর্জন বাধ্যতা মূলক,
আইন সবার জান্য,
মূর্খ মানব কোন কারণ,
কাউন্সিলে হয় গণ্য।
গণতান্ত্রীক সমধিকারে,
কলম ভাঙ্গা লোক,
কোর্ট টাই পড়ে উচ্চাসনে,
বুদ্ধিজীবি হতবাক।
কাক জানেনা কুকিল সুর,
কেমনে গাইবে গান,
বাঁদর পেলো মনোনয়ণ,
শৃগাল হারায় মান।
অধিবেশনে আদার ব্যাপারী,
সচীব করে সম্মান,
গণতন্ত্রের গলায় ফাঁসী,
দিলো এই সংবিধান।
সর্ব ক্ষেত্রে সুশিক্ষার স্থান,
শুধু নাই কাউন্সিলে,
গণ্ড মূর্খের দৌরাত্নে তাই,
দেশ গেলো রসাতলে ।
ঝোপ বুঝে কোপ মারে তাই  ,
বিত্তশালী চাটুকার,
সুকৌশলে ছলে বলে তারা,
আদায় করে অধিকার।
মূর্খ মেম্বার বিচার আসন,
শিক্ষক হয় ফরিয়াদী,
নিরীহ যারা জেল হাজতে,
ভণ্ড শয়তান বিবাদী।
চাকরীর ক্ষেত্রে শিক্ষা দীক্ষা,
হয় ভিষণ প্রয়োজন,
কাউন্সিলে আবেদন করে,
বটতলার মহাজন।
বাহুর জোড়ে মূর্খরা দেয়,
মিথ্যা কথা প্রলোভন,
মুর্খের আইন বাতীল হলে,
সন্ত্রাস হবে দমন।
অত্যাধুনিক অগ্র যাত্রায়,
জ্ঞানী পায় প্রশংসা,
পদ পেলেই মূর্খরা হয়,
সর্বগ্রাসী সর্বনাসা।
অধিবেসনে এরূপ আইন,
পাশ করা দরকার,
গাধার পিঠে চড়ে কেউ,
করবে না তো শিকার।
নুনের ছালা ঢলাই করা,
বেকুব গাধার কাজ,
সিংহ কভূ ভেরার মাথায়,
পড়াবে না তাজ।