বাঙালির শ্রেষ্ঠ মাতৃ ভাষা,অকুণ্ঠ অমৃত নিত্য তৃষা
                  মাতৃ স্তন্যে লালিত,
মায়ের ভাষা কবিতা লিখি,বাংলা ভাষায় গাহে পাখি
                  রাত দিন অবিরত।
রাখাল পল্লী গানের সুরে,ধেনু চড়ায় পদ্মার চড়ে,
               জ্যোৎস্না ভরা আসমান,
কাশ বনে শীতল ছায়ায়, মনঃ হরষে বাউল গায়,
                   বাজায় সেতারখান।
বাঙালী গাহে সাম্যের গান,বুক ভরা আশা অনির্বাণ,
                 হবে বিজ্ঞ বৈজ্ঞানিক,
করবে কল-কব্জা নির্মাণ,দেশে হবে ব্যপক উন্নয়ন,
               জীবন যাত্রা আধুনিক।
কৃষি কাজে গড়াবে মেশিন,ভূ-গর্ভের পানি উত্তোলন,
                  হবে নব উদ্ভাবক,
এই আশা উদ্দীপনা মাঝে,ভাবুক ভাবে সকাল সাঁঝে
                    আর বঙ্গ দার্শনিক।
বাংলার বুকে রক্ত শোষক,পাকিস্তানের স্বৈর শাসক,
                    ঠিক এই সন্ধিক্ষণ,
বাংলা ভাষার পরিবর্তে, উর্দু ভাষা মুদ্রণ করতে,
                 পাশ করে অধিবেশন।
বিদ্যা পিঠে অফিস চত্তরে,বাংলা ভাষার পরিবর্তে,
                  উর্দু ভাষার প্রচলন,
বাংলা ভাষার পাণ্ডুলিপি,মুদ্রণে পাবেনা অনুমতি,
                জারি করে শক্ত আইন।
খাজা নাজিমদ্দীনের  চক্রান্ত,বাঙালী কভূ হয়নি ক্ষান্ত,
               শত বাধা রোখে যায়,
কারার লৌহ কপাট ভেঙ্গে, সকল বন্দিকে নিয়ে সঙ্গে,
              অধিকার করে আদায়।