বৃক্ষের শাখায় ফুটে যত,ফলোবতী ফুল,
শীত বসন্তের আগমনে,আনন্দে ব্যাকুল।
মধু লোভী পাগল ভ্রমর,সকাল সন্ধায়,
গুন গুনিয়ে মধুর সুরে,পল্লী গীতি গায়।
আবেগ ভরা আকুল আশা,ফুলে সর্বক্ষণ,
গর্ভ দণ্ডে মধুর সঞ্চার,উতলা ফাগুন।
বিকশিত পাঁপড়ীগুলোই,স্নিগ্ধ আলপনা,
আকর্ষণে আশিক ভ্রমর,করে অভ্যর্থনা।
রিক্ত সিক্ত কাঙ্কিত বাঞ্ছিত,আশা অনির্বান,
সকাল সাঁঝে সুবাস ছড়ে,করে নিমস্ত্রন।
ফুলের বুকে মধু ভাণ্ডার,দলোগুচ্ছে তাজ ,
রং বে-রং এ ফুলকুমারী,সাজে বধু সাজ।
গানের ছন্দে নৃত্যানন্দে,মৃদু বায়ে দোলে,
তাই পিপাসিত গর্ভাশয়,গর্ভমুন্ড খোলে।                                                                                                                                                                                                                                                                      
ফুলের বুকে কালো ভ্রমর,মধু করে পান,
এই সুয়োগে পরাগরেণু,ঝড়ে পড়ে ম্লান।
শিশির ভিজা তীব্র তৃষায়,প্রভাতী এ ফুল,
আত্ন তৃপ্তির অনুরাগে,করলো বুঝি ভুল।
অসময়ে নিলাজ ভ্রমর,মধু কামনায়,
বিস্তার করলো পরাগরেণু,সিক্ত গর্ভাশয়।
মনোঃস্কামনায় উত্তেজনায়,রেণু প্রতিস্থাপন,
সেই ডিম্বাশয়ে সঙ্গোপনে,হয় পরাগায়ণ।
ফুলের মাঝেই ফল হয়,ফলে জন্মে বীজ,
অঙ্কুরিত বীজের চারায়,ত্রিভূবন সবুজ।
ছায়া সুনিবির বিশ্বময়,লক্ষ কোটি বৃক্ষ,
ফুলের আশা স্বার্থক হলো,এই ছিলো লক্ষ।
পৃথিবীর ভারসাম্য হায়! রক্ষা করে ফুল,
ফুলের নিকট  শিক্ষা নিলে,ভাঙ্গবে সব ভুল।
ফুলের তুলনা শুধুই ফুল,অন্য কিছুই না,
মানব কুলে জন্ম আমার,কু-কাজ করবো না।