সুন্দর বনের সিংহ মামা,তুমি নিষ্ঠুর রাজা?
কেশর সিংড়ে লেজ দুলে,প্রজাক দাও সাজা।
উচ্চ আসনে বজ্র কণ্ঠে,করো হুকুম জারী,
আদেশ যত মেনে চলি,তবু খবরদারী।
যখন যাকে ইচ্ছা হয়,পাষাণ হয়ে খাও,
পুত্র শোক কেমনে সয়,তার দুখিনী মাও।
শাসন করা তারে সাজে,সমাদর করে যে,
তোমার মত ত্রিভুবনে,নির্দয় নির্মম কে?
মনের সুখে নিজের প্রজা,করো তুমি আহার,
চন্দ্র সূর্য অবাক হয়ে,দেখছে  অত্যাচার।
দেশ ছেড়ে সকল পশু,আফ্রিকা চলে যাবে,
অনাহারী কাঙ্গাল হয়ে,ভিক্ষা করতে হবে।
ক্ষুধার জ্বালা বড় জ্বালা,হারাবে দুই কুল,
দুই চোখে ঝরণা ঝরে,দেখবে সরষে ফুল।
একলা পেয়ে পিপিলিকা,চোক্ষে দিবে কামড়,  
অন্ধের যষ্ঠি নাহি রবে,দুনিয়ার ভিতর।
সর্বহারা হয়ে কাঁদবে,রহিত হবে শক্তি,
জীবন হবে দুর্বিসহ,কুকুর চাবে ভক্তি।
দুষ্ট ছেলে তীর মারে গা,যখম করে দিবে,
রক্ত ঝরার কত ব্যথা,মনে প্রাণে বুঝবে।
পাপ করে এ দুনিয়াতে,কেউ পায়নি শান্তি,
দাম্ভীক রাজা পালেই সাজা,ভাঙ্গবে সব ভ্রান্তি।
নম্র হয়ে প্রজা হিতার্থে,রাজ্য করো শাসন,
সময় আছে ভেবে দেখো,করো মোরে স্মরণ।