ব্যার্থতা, বিষন্ন-হতাশার মিশেলে কতো কিছু মন বলে যায়
কাঙ্ক্ষিত মধুর জীবন সাজিয়েছি আজ অপূর্ণতার শোভায়।
পড়াশোনার ইতি টেনেও শিক্ষিত সমাজ মেনে নেয় না আমায়
সকলের দৃষ্টিতে আমি বোঝা আমি বেকার, তাই!
গ্র্যাজুয়েশন শেষে গ্র্যাজুয়েট হয়েছি, পড়েছি মাথায় মুকুট
হাজারো স্বপ্নের ইমারত গড়েছি, বুঝিনি এসব ঝুট।
আমার একটা চাকরি প্রয়োজন যেটা সোনার হরিণ
নেশার ঘোরে অন্বেষণে প্রতীক্ষায় কাটে রাত-দিন।
উপহাস্যের পাত্র আমি, বেকার আমি তাই!
ছোট মনে, ঘরের কোণে ভেবে সময় কাটাই।
আশ্বাসের শতো রঙ্গিন রূপে সেজেছি আমি বোকা
সময় মতো সকলেই দিয়ে গেছে ধোঁকা।
ফাঁকা পকেট, ছেঁড়া জুতোয় চলেছি পথে হেঁটে,
স্বপ্নটুকুই শেষ সম্বল ধরেছে আমায় এঁটে।
মন খারাপকে সঙ্গী করে, মায়ের বকুনিতে সকাল কাটে
প্রত্যাক্ষিত তবুও ছুটে যাওয়া বাবার কাছে, পকেট খরচ নিতে।
জ্ঞানী, মূর্খের জনমানবস্রোতে আমি সদায় নিচু
শিক্ষিত হলেও টাকা নেই তাই এখনোও হইনি কিছু।
পুরো দুনিয়ার অট্টহাসিতে হতবম্ব আমি
স্পষ্ট আমি দেখতে পাই আড়চোখে চাহনি।
তবুও আমি অভয়ের বাণী শুনতে পাই
হারতে হারতে জিতে যাওয়া জ্ঞানীদের খাতায়।
চলেছি তাই প্রভুর নামে যেতে হবে বহুদূর
ব্যার্থতাকেই সম্বল করে দিয়েছি বেশ জোর
মন মাঝির পরম কৃপায় বেচে থাকার সন্তুষ্টিতে
প্রতিনিয়ত দায়িত্বে করে যাবো কাজ, না ভেবে হার-জিতে।