ছেলেটি স্বপ্নে চিৎকার মেরে উঠে
"বাবা' "বাবা' করে,
মা ছেলেটিকে জড়িয়ে ধরে বুকে নিতে চায়
ছেলেটি কাঁদতে কাঁদতে জিজ্ঞাসে, আমার বাবা কোথায়?
মায়ের চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পরে
ছেলেকে শান্ত্বনা দেয় অহেতুক বলে_
তোমার বাবা আসবে, আর বেশি দিন নয়
ছেলে মিথ্যে স্বপ্নের আশায় ঘুমিয়ে যায়।
মায়ে'র চোখ নিদ্রাহীন
চোখে স্বপ্ন শুধু ছেলেটাকে নিয়ে
সেই কবে স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ
অতঃপর একা, আর সঙ্গী কষ্টের বিশাল সমুদ্র।
অদ্য তার অনেক দায়িত্ব
একটি ছেলেকে একটা মানুষ হিসেবে রুপদান করতে
আর তা শিখাতে, সে যেন তার বাবার মতো না হয়।
হতাশা যখন তাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে
বাতাসের মতো কষ্টের ঝাপটা যখন তার বুকে এসে লাগে,
তখন তাকে শান্ত্বনা দেবার পাশে কেউ নেই।
কখনোও তার ইচ্ছে হয় এতো দুঃখ এতো কষ্টের সাগরে না ভেসে
চলে যেতে পৃথিবী ছেড়ে, সবাইকে ছেড়ে।
এ পৃথিবীটা তার কাছে এক অচেনা কারাগারের মতো
যেখানে সে বন্দী এক কয়েদী, কেউ তার কাছে আসেনা
তার মনের সংকীর্ণ জানালা দিয়ে
সে আড়চোখে মানুষগুলোকে দেখে
আর ভাবে জীবনের এই অদ্ভুত কান্ড নিয়ে_
তার মুখে আজ হাসি নেই, ঠোঁট শুকনো পাতার মতো হয়ে আছে
অথচ সে হাসতে ভালোবাসে
সে কাঁদতে চাইতো না, অথচ এটাই তার এখন একমাত্র সঙ্গী।
আজ মানুষ তাকে তির্যকভাবে দেখে
সবাই বিদ্রুপ করে, শুধুমাত্র সে ডিভোর্সি বলে।
সে ভাবে_মনুষ্যত্ব আজ হারিয়ে গেল নাকি?
সমাজ তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়ে,
এ সমাজই তার দোষ ছড়াচ্ছে
সে যেন পৃথিবীর সবচেয়ে অবহেলিত মানুষ।
সবার কাছে সে জানতে চায়, কী এমন তার অপরাধ?
সে চায় খুব ভালো থাকতে কিন্তু অদৃশ্য
কী যেন এক শক্তি তাকে ভালো থাকতে দেয় না,
সে চায় এগুলো থেকে মুক্তি পেতে
চলে যেতে সবাইকে ছেড়ে
কিন্তু তাহলে ত আবারোও তার মতো ডিভোর্সিকে নিয়ে
এ সমাজ হেসে খেলে অট্টহাস্যে মেতে উঠবে
সে ব্যার্থ নয়, এটা
তার পৃথিবীকে দেখাতে হবে__
তার যে এখনো অনেক কাজ বাকি।