আমি এক হতভাগা সেকেন্ড টাইমার
তোমাকে পাবো বলে, হে জানবিবি!
পরম যত্নে ভালোবেসে ঠাঁই দিয়েছিলাম বুকের মাঝখানে
আমি এক ক্লান্ত পথিক
পরম শ্রান্তিতে তোমার বুকে একটু বিশ্রাম নেব বলে, হে জানবিবি
তোমার খুব কাছে এসেও তোমাকে ধরতে পারি নি।
শুধু তোমাকে পাওয়ার আশায় জানবিবি
অগণিত কতগুলো রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি আমি
প্রশ্নব্যাংকের প্রত্যেকটা প্রশ্ন সমাধান করতে করতে
স্বপ্ন দেখেছি তুমি আমার হবে।
আমি ছাত্রজীবনের এক ব্যার্থ ছাত্র
শুধু তোমাকে পাবো বলে, হে জানবিবি!
পড়ার টেবিলের চেয়ারটা আজও আমাকে নিশীপ্রহরে ডাকে
আমি কি করে সাড়া দেই বলো?
তোমার কারনেই ত সারাক্ষণ আমার পড়তে বসা
সেই তোমাকেই যখন পাইনি, তখন কেমন করে আমি পড়তে বসি?
দেশের এক প্রান্ত থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অথবা বিছানায় শুয়ে
বারবার তোমাকে স্মরণ করেছি আর ভেবেছি
তোমার মাঝে সবুজের লোকালয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা
বিমোহিত রাস্তায় হেঁটে ক্লান্ত হয়ে দীর্ঘশ্বাস ছাড়বো বলে
আল-বেরুনী অথবা রফিক-জব্বার হলের কোন এক কক্ষের
একটা সিট হবে আমার নতুন বাসস্থান।
অথবা ঐ বটতলার শতো শতো রঙ্গের সুগন্ধি ভর্তার রেস্তোরাঁগুলো হবে আমার, নতুন আহারের ঠিকানা।
খালি পকেটে কোন এক হলের কোনো প্রান্তে শুইয়ে শুইয়ে
ক্ষুধার্ত পেটেও স্বপ্ন দেখবো বিসিএস ক্যাডার হওয়ার,
আর মনকে রাঙ্গিয়ে তুলবো শতো আনন্দের কোলাহল দিয়ে।
দীর্ঘ ছয় মাস পর যখন নিজ এলাকায় যাবো আমার টি শার্টের
কোনো এক ডিপার্টমেন্ট এর নীচে লিখা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দেখে
কোনও এক সুন্দরী মেয়ে, পাশের কাউকে দেখিয়ে
আমার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকবে,
হয়তোবা সেই আনন্দটা আমার জীবনের সবকিছুকেও ছাড়িয়ে যেতে পারতো!
আজ যখন তোমাকে পাইনি, হে জানবিবি!
সর্বস্বান্ত অন্তঃসারশূন্য এ হৃদয়ের চাপা কান্নায়
আড়চোখে তোমার দিকে তাকাই
আর সাদরে বরণ করে নেই আমার নিয়তিকে।