জীবন নামের পথে আর কত নিরাশ হবো, আর কত বিপন্নতায় ভুগবো ,
জীবনের মায়ায় লেপ্‌টে থাকা নব্য-বাস্তবতা কপালে ছুড়ে মারো ।
ব্যর্থতার দরজায় ঠক ঠক করে সফলতা বলেছিল
অদম্যের সেই কুকুর কে দিয়ে দাও জীবন,
জীবনকে পেতে হলে দেওয়াতেই থাকবে তোমার সফলতা বা মুক্তির মরণ।


ডিজেলের বদলে রক্তে চালিয়েছি যান —
রক্ত খাওয়াতে প্রতাপশালী — উন্নত মান !
নির্জনতার অগোচরে এসেছিলো গোপন পাপ,
বিভোর হয়ে আলিঙ্গন করতে গিয়ে পেতেছি এক নরকের ফাঁদ।
সমুদ্রের জলে মুছে দিলাম অস্তিত্ব, হারিয়েছিলাম নিকৃষ্ট এক আমি কে,
পায়ের তালুতে পিষেছিলাম জীবন — জীবনের মূল পথ ভুলে হাঁটলাম এক নরকে


বেলা হয়ে আসা রোদের মতো জ্যােতিহীন থাকি বিবর
তোমাকে রেখে পেয়েছিলাম এক জ্যান্ত কবর।
আত্মহত্যা মহাপাপ বলে বাজি রেখে এ জীবন হতাশায় ক্লান্ত নিজ অক্ষে ।
নিজের পাপ নিজেকেই ঝুলিয়ে রাখে জল্লাদের হাতে,
মঞ্চে হাহাকার এর ভয়ে ঝোলাতে পারে না নিজের মৃত্যু কে।


নিশানা বন্দুকের গুলি উড়াবো নিজের মাথার খুপরি,
আফসোস নিয়ে করুণা হয় জীবনের প্রতি,
আলিঙ্গন করি আবারও পাপকে, যে পাপ এসেছে
নিজেকে পোড়াতে,আর আত্যহত্মাকে মেনে নিতে।
সাদা কাফন পড়ে ঘুরি,আনন্দ মঞ্চের জল্লাদের ডাকের অপেক্ষায়,
বুক ফুটো হয়ে বেরিয়ে গেলো আত্মা— এ জীবন কাটে যেন সেই ডাকের ভাবনায়।


এখনো সপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে—  পাখিদের নীড়ে ফেরার কথা ছিলো
অথচ তারা মুক্ত জীবন পেয়ে শত পথে উড়ে জীবন ফিরে পেলো।
অতি আপ্যায়ন করেছিলাম মুক্তি কে,
তাই হয়তো অদম্যের কুকুর এসেছিলো জীবন নিতে,
বিনিময়ে পেয়েছি কেবল জানোয়ারের মতন জীবনকে,
অর্থাৎ আগুনের ঝাণ্ডা ঝুলিয়ে যেন নিজেকেই পুড়িয়ে ফেলা!
জীবন থেকে মৃত্যু, জন্ম থেকে আজন্ম মৃত্যু এভাবেই  যেন কাটিয়ে দেয়া।