আমি আমার বুকের পাঁজরে সমুদ্র খুঁজি।
আমি আমার বুকে নীল খুঁজি।
আকাশের নীল খোঁজে পাই।
.
আমি স্বপ্নে রং দেখেছি।
বাস্তবতার রঙ মাখা অমিশ্রিত স্বপ্ন।


স্বপ্নগুলো বার বার ঘুমের মাঝে
নষ্ট করে  সব কল্পনাকে।



শহরের প্রতিটা খাঁচা বন্দি পাখির ডাক,
আমার প্রাণে বাস করে।
কারন আমি ওই আকাশের নীল
হতে চাই।
ঘ্রাণ  নিতে চাই মেঘেদের।
স্পর্শ পেতে চাই সোনালি সকালের।



শহরের ইট কাঠের যে জেলখানা।
সেখানে আমি কয়েদির আর্তনাদ শুনি।
শুনি প্রাণহীন লাশের অমর বাণী।
সে বানী আমাকে ঘুমাতে দেয়না।


.
এই পাথরের শহর।
এই আবদ্ধ নগর।
এখানে বারুদের গন্ধ পাই।
দেখতে পাই পুঁজিবাদী পশুদের চিৎকার।


এখানে শিশুদের স্বপ্ন গুলো খেলা করেনা।
মাঠে দৌরায়না আপন মনে।
তাদের মনকে হত্যা করা হয় অতি যতনে।


আমি সেই মৃত  আত্মার চিৎকার শুনি।
শুনি  কাঠের দেয়ালে মরে যাওয়া পরাধীন লাশের কান্না।



আমি এক অমিশ্রিত ভাবনার কবি।
মাতালের মত ভাবি।
ভাবি মাতালের ভাবনা।
আমি হয়ত এমন না।
তবু ভাবি সেই মানুষের কান্না।
যার মৃত প্রাণ  এই কঠিন নগর চায় না।



এখানে আমার মাতাল ভাবনা।
তবে আমি খুঁজি  মানষের কান্না।
ইট কাঠের দেয়ালে যেসব পরাধীন প্রাণ গেছে মরে।
যেসব শিশু  এই নগরী থেকে গেছে ঝড়ে।