স্বপ্ন
♦♦♦♦
মো: আব্দুল্লাহ্ আল মামুন
*************


তোমাকে নিয়ে যে স্বপ্ন "
যে স্বপ্ন দেখেছে  আকাশের কালো চিল '
হুতুম পেঁচার পাখার শব্দে "
যে স্বপ্ন দেখতে পারেনি বুনো শালিক।


আমি আজ সেই স্বপ্নে বিভোর '
হাজার বছর ধরে দেখছি সেই স্বপ্ন।


সেই স্বপ্নে আমি তোমায় দেখেছি।
দেখেছি তোমার মুগ্ধকর হাসি ''


যে স্বপ্নে রুপালী চাঁদটা আকাশে ছিল।
ছিল সেই রাত্রি জাগা পাখি "
যার ডাক আমি রোজ শুনতে পাই।


হাজার বছর ধরে এই  ডাক '
শুনে চলেছে প্রকৃতি প্রেমিরা।
এই বাঙলার কবিরা "
   চারণ ভূমির ঘাস পোকারা "


হাজার বছর ধরে এই ঘাস পোকা গুলো এই মাঠে।
তারা এখানে বাসা বেধেছে '
স্বপ্ন দেখেছে বাঙলার প্রকৃতিকে '


সেখানে আজ তুমি নিদ্রাতে মগ্ন
যেখানে একটা নদী ছিল।
আজ নেই " স্বপ্ন হয়ে গেছে।
একটা দেবদারু গাছ ছিল।
স্বপ্নে মিশে গেছে।


তার অস্তিত্ববাদী আত্মাকে চেনে এই বাতাস।
যে বাতাসে তুমি শ্বাস নাও।


তার সাথে পরিচয় ছিল বুনো শালিকের।
ঐ  ঘোলাটে সাদা বকটার।


যে বার বার ওড়ে বসত গাছটাতে।


এখানে একটা শান্তির গ্রাম ছিল।
এখন যেখানে শহর হয়েছে।
যেখানে তুমি পাখার বাতাসে স্নিগ্ধ।


এখানে একদিন প্রকৃতির বাতাস ছিল।
যার সাক্ষী  হিজল গাছটা "
তমাল গাছের ঝিঝি পোকা টা।


আজ হাজার বছর পার হয়েছে।
এখানে আগের মত নেই কিছু।
সবই স্বপ্ন হয়ে গেছে।
ইতিহাস আজ কথা বলে।


তুমি আজ স্বপ্নে এসেছিলে।
স্বপ্নে এসেছিল সেই হিজলের বন।
দাঁড়কাক টা ডাকছিল সেখানে।


সাদা বকটা একটা মাছ মুখে নিয়ে "
বসে ছিল সেই গাছের  শাঁখাতে।


আজো স্বপ্নে তুমি এসেছিলে।
     সাথে এসেছিল বুনো শালিকের দল।
মেঠো পেঁচাটা  বার বার ডাকছিল "


কান্নার মত সুর আজো শুনতে পাই।
বুনো হাসের কান্না "
মাঠ পেরিয়ে এই শহরে "
আমার এই নরম বিছানাতে "
যখন পিঠ ঠেকাই '
  


শহরের ইট কাঠের জেলখানা তে
পল্লি জননীর কান্না শুনতে পাই।।


স্বপ্নে তোমার ভালবাসার স্পর্শ '
বার বার মনে করিয়ে দেয়।
তুমি হলে পাখির সেই স্নিগ্ধ চাহনি।