কোথায় অমনিমা?  
কোথায় যাচ্ছে স্পর্শ সব!
কোথায় ফুরিয়ে গেলো
অগ্রহায়ণী রোদ, হেম-আবেশ
নীরব অথচ মধুর বেদনা যতো।  


খুব করে ফুরিয়ে যাওয়ার আগে,
দুমুঠো বাদাম ভাগ করে খাই চলো।  
চলো সন্ধ্যায় দাঁড়ানো যাক,
অন্য-মানুষের, অন্য-পৃথিবীর
অন্য কোনো আলোয়।  


আমাদের বলতে যা আছে,
নীল-পাড় ঘি-রঙা শাড়ীর মতো হাসি!
আর মিটিমিটি রোদমাখা ঠাট্টা-রাশি!
খুব চেনা গানে তোমার গলার স্বর।  
আর তোমার আপন-মন।
তার চাহনি অন্যত্র৷  


অমনিমা,  
তোমায় কখনোই ভালোবাসতে চাইনি
কখনোই ভাবিনি আমার আপন।  
তবুও,আমার মাঝে যারা থাকে!
দিন-রাত উজাড় করে দিয়ে
তারা তোমায় ভালোবাসে।  


আমিও ঠিক চিনি না তাদের,
অথচ তাদের দাবী, তারা আমারই সত্ত্বা
আমারই আপন-লোক।  


আজকাল তারা একদফা-একদাবীতে অনশনরতঃ
"স্পর্শ চাই, স্পর্শ চাই, স্পর্শ চাই!"
আমি কতো শত বারণ দিয়েছি,  
কড়া করে বলে দিয়েছি তর্জনী তুলে যে,
বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ।  
কে শুনে কার কথা!


বলো তো,
এ কি করে সম্ভব!
যেখানে তোমার-আমার ঘড়ির কাটা দুই ;
আমাদের জীবন বয়ে চলেছে
দুই প্রান্তে, দুই স্রোতে, দুই হাতে।  


তারা ঠিকানা পেয়েছে বটে এক;
সে ঠিকানার নামঃ অন্যত্র।


চলো অমনিমা আমরা তবে যাই,  
-অন্যত্র!