গভীর ক্ষত ;
আরো গভীরে যেখানে স্থির।
যেখানে স্থির বিগত শতকের যোদ্ধা ফসিল ;
রণক্লান্ত বিপ্লবী, বোধিসত্ত্বা, প্রাচীন প্রেমিক-লাবণ্য।  


যতটা গভীরে সমুদ্রের তলদেশ,  
পিন-পতন বিন্দুর মতো স্থির।  
যতটা গভীরে ধ্যান-বিন্দু একরেশ
তীর-মতন চক্ষুর মতো স্থির।  


ভীড় না করে সকল বিন্দু যেখানে নিবিড়,
ভাঙা-দেয়াল ভাঙা-সময় যেখানে স্থির।  
ঝিম! ধরে গেছে যেখানে সকল শরীর
অথবা মায়া।  


প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি-যোগ-বিয়োগ-গুণ-ভাগ
আশা-হতাশা-আগুন-বরফ-ভারী-হালকা
যেখানে তোমার থেকে আমার দুরত্ব
সবই পলকা বাতাসের মতো থির।


কেবলই আলো যেখানে
ক্রমশ কথা রেখেছে জমা।  
কেবলই আনন্দ-গান-অম্লান
তোমার-আমার-তার নাম নেই
অথবা তর্জমা।


সেখানে নীরবতাই পারে,
নীরবতাই সেখানে যেতে পারে,
নীরব-সুরের মতো গভীর সুর পারে
নিয়ে যেতে, একনাম-একসুরে।  

  
হৃদয়হীন বেড়ে উঠা সাড়ম্বরে
অথচ তারও প্রিয়নাম ভবঘুরে।


নীরব তো নীরব নয় সাধারণত দৃশ্যের অগোচরে ;
উত্তাল ঢেউ সে বাইরেই সব ;
অন্তরে জীবন আনন্দ-সরব কথা বলে।  


সে পথ অগম ; খুব কম বলেই
সে পথে জীবন অনন্তঃ
তবুও নীরব সকল কানে।