কবিকে শোনাব আমার আক্ষেপস্পন্দনের ক্লান্ত ধ্বনি।
থেকে থেকে হৃদয় জ্বলে শহরের ঘরে।
তোমার চোখের ছায়ায় পায়ের মায়ায় চেয়েছিলাম থাকতে লালমাটির পুলকের বিপুল সংসারে।এ আমার চির-কালের চির-চাওয়া।
নয়নের কিনারায় দীর্ঘকাল ঠায় অপেক্ষায় সে প্রত্যাশা!!দুঃখী হই,কেন দিলে না হে দিকপাল অনুমতিটুকু??
তোমার ফিরোজা আকাশে বিলিয়ে দিয়েছি একান্ত আপন মন কবেই।আকাঙ্খায়-আকাঙ্খায় আজও আমার গ্রীষ্ম পিয়াসি!!
মেঘের মোচড়ে আমার বর্ষা চায় প্রগতির বারি কোপাই-কূলে।মেঘের ডম্বরু আর বৃষ্টির গান বুঝি তুমি একাই শুনবে কবি??
আমার শান্তি শরতের নম্র নীলের অভিপ্রায় ছিলো,সে তিতিরের মিশ্রসুরে আয়োজন করবে এক বিরাট উৎসবের।
লালমাটির বুকজুড়ে পড়ে থাকা শাল তমালের পাতারা সামান্য প্রেম দিলে বর্তে যেত জনম আমার।
ভোরের কুমকুম আলোয় মুহুর্তবিনোদ।অন্তরে তোমারই গানের ছোট্ট দু এক কলি নিয়ে দেখা করতে যেতাম মেঘের মতো বড় মন যার সেই অজয়ের সাথে।
গুঁড়ো গুঁড়ো প্রেম ছড়াচ্ছে তো ছড়াচ্ছেই হাওয়ার পাকে পাকে!!
ওদিকে তাকালে খোয়াই এর গেরুয়ায় মীমাংসা হয়ে যেত যত দুঃখের!!
কত মাস কত লগ্ন প্রতীক্ষা করে আছি এই ঠাঁইএর আশায়।তুমি জানতে পারো নি কবি!!
এখন শুধু দূর থেকে দেখি।বিশ্বাসঘাতকের আখ্যা পেয়েছি আপন অন্তরের কাছে।
দিন যে কিভাবে আর্তনাদ করে অন্ধগলির অমায়া জানালার ধারে তা যদি জানতে!!
হার মেনেছি শোকের কাছে।তাতে তোমার তো কিছুএসে যায় না কবিরাজ!!
ব্যর্থতা উপহার পাওয়া, এ তো হামেশাই হয়ে থাকে জীবনের সাথে।
বেঁচে আছে শুধু একটি কথা তোমাকে বলার মতো।
পারো যদি স্বপ্নের সমাধি গড়ার এক টুকরো ভূমি দিও।
অন্দরে এলিয়ে থাকবে আমার অপদস্থ অস্থিসার ইচ্ছেরা..বিলাপশেষে!!
অমোঘ মাটিতেই হোক না তাদের মর্মান্তিক বিসর্জন।তাই বা কম কিসে!!