ভাই ভালোবাসা!!
অনেকদিনের খেই হারিয়ে যাওয়া এই স্যাঁতসেতে অবসন্ন ভীরু জীবনটাকে তুমি দেখতে এলে না তো?
পালিয়ে বেড়াচ্ছো, না কি এড়িয়ে যাচ্ছ গো!
জানি ব্যর্থের হাত কেউ ধরতে আসে না,তবুও কি জানি কেন তোমাতে ভরসা ছিল।বলেছিলে..অবশ্য আসবে।কথার কথা ছিল বুঝি?
এমন মুক্ত মোড়া কথার কথা আমাকে অনেকেই দিয়েছিল জান! যেমন ধর,সুশুভ্র রোদ্দুর বলেছিল সময়ের পরিমাপ না করে আমরা দুজনে আলাপ জমাব মাদুর বিছিয়ে!
পূর্ণ-ইন্দু বসন্ত রাত বলেছিল সাজিয়ে দেবে আমার প্রেম তার সুদীর্ঘ জ্যোৎস্না জোয়ারে।  মালাবদলের পালায় সাক্ষী থাকবে ঐ নিঃস্বার্থ শান্ত শুচি আলোছায়া।
সচ্ছল তিস্তার জল আমাকে ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিল ভাসিয়ে নেবে ঐ পাহাড়ের বাঁকে পাইনের প্রেমে গড়ে ওঠা বসতি মায়ায়!
আমি বাসিন্দা হব সেখানকার!
রাঙামাটি বলেছিল ঐ যে দূরে তালসারি ঘেরা পুকুর তার এককোণে পেতে দেবে আমার সুখী সংসার।কাঁচ-স্বচ্ছ জলে ভেসে উঠবে শান্তির প্রতিচ্ছবি।
ভাদ্রের নীলমেঘ আশ্বাস দিয়েছিল আমার ব্যথার প্রতিকার করবে উদার কাশবনের হাওয়ার দোলে।
বাউল-বৈশাখী এনে দেবে  নিরালা উঠোনে প্রাণের হৈ চৈ।
তারাভরা রাত্রির আকাশ আলো হাসির অন্তরঙ্গতায় এক নিশ্চিন্ত ভবিষ্যৎ দেবে বলেছিল।


আজ পাশে নেই কেউ! পূর্ব হতে পশ্চিম গগনে কোথাও মেলে না সে-সবের এতটুকু কণা।অকরুণ ভূ-পৃষ্ঠের কোথাও ঝরে না আমার সুখের ঘূর্ণীর রূপধারা!
সবই তাহলে দুর্বল কল্পনা ছিল আমার, কি বল!
তবে মনস্থির করেছি,যতক্ষণ এ হৃদয় বাঁচে দুটি চোখে অনুদিন আমি লালন করব তাদের!
জীবনের অণুতে অণুতে কোষে কোষে মিশে গেছে যে সে আকাঙ্খা।
না পাওয়া সুখের অনন্ত বিস্ময়ের,বারো মাস সহজ অভ্যাসে প্রতীক্ষা সেও এক আনন্দ বিরল।এই বা কম কিসে!
এটুকুই যে সম্বল বুঝেছি আমি আপনমনে।
ভালো থেকো ভালোবাসা!তোমার আলোর পানে আমি চোখ মেলে থাকি অভিমানে,
নিদ্রাহীন সঙ্গীহীন একাকী কক্ষকোণে!