নায়িকার ভূমিকায় মঞ্চে অবতীর্ণা হলে বর্ষারানী?? তোমাকে মানায় ভারি ভালো!!
মেঘের ইশতেহারে দেহাতি নদীর বুকে খিলখিল উন্মাদনা তাই।
ঝরে পড়া স্নিগ্ধরূপ,দশদিক কেঁপে মুষলধার দুই-ই মনের চোখে অসামান্যা।
একাধারে দ্বয়ী তুমি।কান পেতে থাকলে তোমার শিঞ্জিনিতে শুনতে পাই একটা ক্ষীণ সুর দূরাগত গানের।
মেঘলা দিনের ভিজে ছোঁয়ায় শুদ্ধ হয়ে যায় সব পল ও বিপল।
সন্ত্রাসী গ্রীষ্মের হিংসার তান্ডবে শূন্যতা জড়ো হয়েছিল খুব মনে।মেঘের চমকে তা ফুরিয়ে গেল শেষ অবধি।
জুড়িয়ে গেল খেতের দহন।
তোমায় ঘিরে অকল্পিত দৃশ্য দেখবো উদার মাঠে দিনের পর দিন,তাই বন্ধ রাখিনি জানালা কোন।
বর্ণনার ভাষা মানবে হার!!আলিসার ভিজে শালিক বিলাপী নয় তার ভাগ্যের উদাসীনতায়।অন্তহীন বিলাস করে খুব!! আজ যেন দুনিয়ার কেউ অসুখী নয়!!
ঘাসের ডগা সাজগোজ করে জলবিন্দুর অলংকারে।
কল্পনা করি ভরা নদীর বুকে তোমার বিস্ময় পতন!! বিরামহীন সুখের আওয়াজ।
বৃষ্টি আমার,বাতাস আমার,কদম ফুলের গন্ধ আমার!! দুঃখ কিসের আর!!
অলস মন্থর পর্যটনে আমি কবির গান গাই!!
প্রত্যেকটি ছোট মেঘের সাথে চিরতরে বাঁধা পড়ব স্নেহে।নাবালিকা হব তার সাথে পুরো বর্ষাকাল..ক্ষতি কি!!
এই শূন্যতার মন্ডলীতে বাদল ফিরিয়ে দিতে পারে প্রথম ভালোবাসা!!
মানভঞ্জনের পালা ভাসায় ধরণী..ঝুমঝুম বৃষ্টিতে!!
এই পৃথিবী খুব পবিত্র তাই।যতদূর চোখ যায় ততদূর আনন্দ করে বিচরণ!!