নাগরিক উদ্বেগের জীবন পিছনে ফেলে আমার সফর প্রিয়া চোখ চলেছে বর্ষা পাহাড়ের ফুর্তি চূড়ায়।
সবুজের পান্থনিবাসে তীর্থযাত্রী হয়ে দেখবে কিভাবে পাহাড় বোনে মেঘের জাল।
দিশেহারা বজ্রে শ্রাবণের ধারাজল কিভাবে আশীষ ঢালে জীবন-পথে।
সে হবে এক দুরন্ত দিন, নিচু আকাশের নীচে।
বড় ইচ্ছে ছিল ঝোরো প্রেম দেখবো পাহাড়ী ঘাসের পরে।দেখবো মাটি কেমন অভ্যর্থনা জানায় আকাশকে!!
বলে যায় মেঘ কানে কানে,’এলাম আমন্ত্রণে তোমার প্রতীক্ষার তীরে প্রেম দেব বলে!!’
ঘন অরণ্যের মনে শীতল সান্ত্বনা নিতান্ত গোপন ব্যথাকে তার অনায়াসে ভুলিয়ে দেয়।
সুখবারিধি সুর দিয়ে যায় হৃৎপিন্ডের স্পন্দনে।সে গান আমি শোনাব শান্তি স্তব্ধ পরিবেশের সদ্য জাগা অঙ্কুরকে।
ভালোবাসা ছাড়া যে আর কিছুই পারে না বিলোতে!!
আমি তৃপ্ত,আমি প্রীত,উপচে ওঠা স্নেহ কণার আবর্তনে।
ধ্বনি প্রতিধ্বনিতে মনে হয়,ঘর গড়ে থাকি তার পাশটিতে।
এলোমেলো উত্তাল বর্ষা-পাহাড় শেখায় সম্ভাবনার স্বপ্নে ভাসতে।কিভাবে পেরোতে হয় দুর্যোগের চড়াই-উৎরাই।ঊষর জীবনে কিভাবে ফোটাব রাতারাতি ঈশ্বরী ফুল।
স্বচ্ছ শীতল শান্তিজল মহা আড়ম্বরে ছড়ায় শাল সেগুন পাইনের মায়া আমার ধমনীজুড়ে!!
শিকলভাঙা তন্ময় চোখ দিকে দিকে ঘুরে দেখে মধুরের সম্ভাবনা।বিরস দিন দৃঢ়তার মেঘে হয়  রচনার দিন।
ছোট ছোট সুখে মেলি হৃদয় বসুন্ধরা তোমার দেশে!! সন্তোষের আয়ুষ্মান রেশ থাকবে পাশে সুখের সঙ্কটে।এ বিশ্বাস আমার।
নতুন নীলের আভাস পেতেই কেটে যায় বৃষ্টি।নতুন সূর্যে আঁকাবাঁকা পথে শুরু হয় ছায়াদের ঠেলাঠেলি।রাত্রি ছিটোয় তারা।শেষ হয় বর্ষা..মাঠে ঘাটে তেপান্তরে!!
আমি ফিরে আসি ট্রাফিক নাদে প্রতিদিনের ব্যস্ত আয়োজনে ধরণীর এক কোণে।
অবশ হৃদয় স্মৃতিচারণ করবে যে কাজ-অকাজের মাঝে।অবসাদের গরম দুপুর ধুয়ে দেবে সুবহ আনন্দ হাওয়া।
আমার অভিমানে সে দুই হাতে ধরবে  দু’হাত আমার!!...শোনাবে দূরবিদেশের সুর!!