দীর্ঘ অদেখা।তবুও সুখের কৌটোর ঢাকনা খুললেই দেখতে পাই তোমার নয়নপ্রীত রূপ তিস্তা নদী!!
তুমি কি শুধুই নদী?একটি কলরব মুখর জলধারা? নয় তো।তুমি তো আমার একাকীত্বের সই!! ভীষণ মগ্ন রাখো স্বপ্নের সংসারে।
যাবতীয় স্মৃতিগুলো জ্যোৎস্নার মত ফুটে ওঠে যখন তখন।ঘুরে ফিরে চলে আসি ঘাটের পারে,দেখি তোমার দুগাল হাসি।তাতেই বুঝি জোয়ার আসে উৎফুল্ল আশা নিয়ে।
সেই জীবনের কথা ভাবি।নীলাভ হয়ে আছে আনন্দগাঢ় প্রত্যেকটি মুহুর্তের দানা!!
আজীবনের জমকালো মুগ্ধতা তুমি।তোমার স্রোতের সমৃদ্ধ ভাষা শুধু এগিয়ে যাওয়ার কথাই শেখায়।
আরও না জানি কত গল্প হোত মনের নিভৃত ভাগে।কঠিন গ্রীষ্মের জ্বালা,জলাকার শ্রাবণের তরঙ্গ,আসমানি শরতের রহস্য বা পাকা শীষের হেমন্তের জয়গান এ সবই সয়েছি,উপভোগ করেছি বহুকাল আগে এক সাথে।
এক সাক্ষাতে একে অপরের অন্তরে প্রবেশ!!কত হাসাহাসি,ভালোবাসাবাসি!!
অনেক দূরে চলে এসেছি তিস্তা নদী!!তোমার দুচোখের সীমানার বহু বাইরে।
এদেশে অগভীর সবটাই।ভালোবাসা মায়া ভরসা বিশ্বাস,এরা সবাই এক একটা শব্দ মাত্র।তার পরিচয় অতি সহজেই পাই।
অথচ এই পৃথিবীর সাথেই এখন উঠি বসি।
সেইসব ফর্সা দিনের ফোঁটা ফোঁটা আহ্লাদ ঝরে পড়ার কথা মনোযোগ দিয়ে ভাবি।আরও ভাবি এ অনুভব সূর্যালোকে দৃশ্যমান নয়,আছে তারা ছন্দোবদ্ধ প্রাণের ভিতরকক্ষে।
আমি লিখি সুদূরে বসে!! মনে ভাবি,যদি কোনদিন সেই আকাশ,সেই ধানে ঢাকা মাটি,সেই বিকেলবেলার পটভূমিকায় ফেরত যেতে পারি,বেঁচে উঠবো বস্তুত।
সেটা ভেবেই আজকের জীবন সুন্দরতর!!
জীবন মানে তো দিনের হিসেব নয় ভাই।জীবন হল সরস,সুহৃদ মুহুর্তমালার এক পৃথিবীপৃষ্ঠ।
এটা জানে না সবাই।