কতদিন যাইনি মায়ের রান্নাঘরে!!
পাঁচফোড়নের গন্ধভরা সেই হেঁসেলে কেটেছে শৈশবের শত শীত,কিশোরী দুপুর, যৌবনের সন্ধ্যেবেলা!!
মায়ার উত্তাপে আজও তারা ভবঘুরে হয়ে ঘোরাঘুরি করে কবিতার পাতায়।
তাজা সবজি,শাকের আঁটি,কাঁচা আম,গন্ধ লেবু আর মায়ের হলুদমাখা হাত দুখানি জীবনচিহ্ন এঁকে দিয়েছে আমার ধমনীতে।
বার বার ভেজা হাত মোছা তার কল্কাপাড় শাড়ীর আঁচলে থেকে গেছে সমস্ত ভুবন!!
পিড়ি পেতে বাবার সাথে খেতে বসা স্মৃতির স্বাদ অনেকটা ফিরনির মতো।
খাওয়া শেষের সাজা পানে মেতে ওঠা দুপুর ধীরে ধীরে পেয়ে যেত বিকেলের স্পর্শ।পাঁজর জুড়ে ছিল পুণ্য বাঁচা!!
কাঠের উনুন জ্বালে গরম ভাতের সুগন্ধে হ্যাঁ সত্যিই ছিল নিশ্ছিদ্র সুখের দিন!!
মন কেমনের মাঠে আজ চেতনার রঙিন সুতো দিয়ে গড়ে তুলতে চাইছি এক নকশিকাঁথা।
সেও এক কথকতা হবে!