আভূমি আকাশ,মাঠজোড়া ধান,বেলা-অবেলার হাওয়া
কবিকে জানায় জীবন-মরণ মানুষের লড়ে যাওয়া।
দিশেহারা এক অচেনা বোশেখ মনের খাতা খালি
পৃথিবীর ক্ষতে সময় বাজায় অলক্ষ্যে করতালি!!
শুনেছো কি কবি,ভাঙা উঠোনের অসহায়তার কথা
যুগের গাঁথুনি নাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাধির নীরবতা!!
বিরল হল আনন্দ আজ,শুধু শূন্যতা ঝরে
মুহুর্মূহু করুণ দৃশ্যে দূরান্ত কেঁদে  মরে!!
তোমাকে ছাড়া বাঁচাই কঠিন,আপামর হৃদে আশা,
খান খান বুকে তবুও রেখেছি মরমি ভালোবাসা!!
চেতনালোক কবেই হয়েছে তোমার ঋণে ঋণী
একথা জানে বালির কণা,ভোরের সরোজিনী।
রোজনামচায় থাক না যতই খ্যাপা ঝড়ের রেশ
তোমার গানের আলতো ছোঁয়ায় নিরাপদ লাগে বেশ!!
কবি তো আছে বিপদ ভরা সময়ের অঞ্চলে
আপ্তবন্ধু!! এই প্রত্যয় বাঁচার কথা বলে!!
সূর্যাস্তের এ-পিঠে দাঁড়িয়ে ও-পিঠের কথা
ভাবি
প্রদক্ষিণে দেখবে আগামী নিরাময়তার ছবি।
সেইদিন হবে উৎসবে রাঙা শরৎ ফাগুন মাঘ
সব নিরাপদ সুখ সমতলে পঁচিশে বৈশাখ!!