শান্তি স্তব্ধ জেরুজালেমের পথ,
হিমরাত্রি রাতের তারা অবোধ।
প্রানের আহ্লাদ আস্তাবল জুড়ে,
লুব্ধক ঠায় বসে রাত্রি তীরে।
মেরীর বুকে সদ্যজাত যীশু,
উষ্ণ চুমোয় হেসে ওঠে দেবশিশু।
মৃদু চোখ মেলে অঙ্কুরিত প্রাণ,
ধন্য রাত্রি, পৃথিবীর সন্তান।
অন্তর তলে তেজ অরুণসম,
সোনার বরন প্রভা উজ্জ্বলতম।
তারার সাথে তারার কথামালা,
সৃষ্টির পারে স্ফটিক আলোর মেলা।
মহাজাতকের ছোঁয়া পুণ্য ঊষা,
আলোকের জয় পরাজিত অমানিশা।
শান্তির বাণী জীবনের অবদান,
অপরূপ জ্যোতি প্রেমিক মহীয়ান।
হৃদয়ের ব্যথা নিরাশার কুহেলিকা,
স্পর্শে দূর, দুঃখের যবনিকা।
অসুখের সুখ নিরাময়তা ছায়া,
প্রসারিত বাহু বিশ্বপিতার মায়া।
পরিত্রাতা ক্ষমার মহৎ আধার,
দুঃখ, গ্লানি নিরসন হাহাকার।
প্রশান্ত দৃষ্টি শীতল জলাশয়,
পাপকে ঘৃণা পাপীকে স্নেহাস্রয় ।
মানবের মনে বিশ্বাস প্রবাহিত,
ভরসায় প্রাণ অবোধ শিশু যত।
বান্ধবজন ইতিহাসে আজও জেগে,
অমর জন্ম হাজার বর্ষ আগে।