তুমি বলেছিলে শুকতারাকে পড়শি করে ঘর বাঁধব কোপাই নদীর তীরে।
মনের গহিনে পরিপাটি আশার আলো তাই এতদিন পুঞ্জ পুঞ্জ স্বপ্নের চাষ করেছে ক্লান্তিবিহীন।
জলসেচ করেছে আনন্দের অশ্রুকণা দিয়ে।
নদীর ছোঁয়ায় আমার আবেগ খুঁজে পেয়েছে ভাষা।
জীবনের প্রতিটি পাতাই সুরেলা....সুবাসিত সুখে মগ্ন।
অঙ্কুরিত প্রীতি শীতের দিনে রোদ পোহায় নদী কূলে।
স্বপ্ন গভীরে এক শান্ত স্বচ্ছল সংসার বাউল গান গেয়ে যায়।
কস্তুরির সুবাস আছড়িয়ে পড়ে রাত্রিদিন।সুখ আর শান্তির শুভ্র আবরণে আমাদের প্রেমের জগত।


কিন্তু কই, তেমন কিছুই তো হল না! আমার স্বপ্নেরা শুকিয়ে ম্লান হয়ে একলা কাঁদে।
সেই মোহে অন্তঃকরণ যে আমার প্রবল দুর্বল ছিল!
জৌলুসহারা মনের আকাশ হতে খসে গেছে সমস্ত নক্ষত্র।
শূন্যতার দুঃসহ গ্লানিতে অনন্ত দিন রাত্রি শুধুই দীর্ঘশ্বাসের বায়ু।
মানুষ বদলে যায় আমূল।এতদূর বদল যা অনায়াসে আগুন জ্বালিয়ে দিতে পারে বিবেকের ঘরে।
নির্দয় সে আগুনে পুড়ে গেল আমার প্রাণের ঘরবাড়ি।ছত্রখান প্রেমের শস্যক্ষেত্র।
সমস্ত আবেগ লৌহ কঠিন।
বিষণ্ণ মুখ কবিতাদের জড়িয়ে ধরে চোখের জল ফেলি।
কোথাও যাইনি আমি,রয়ে গেছি তোমাকে জড়িয়ে এই প্রিয় নদীতীরে।
সেইসব স্বপ্নেরা খেলা করুক ভোরের কুয়াশায়,হেমন্তের মাঠে।
তুমি যে বিমুখ সে দুঃখ জানাই সন্ধ্যাতারাকে।
তাকিয়ে ভাবি হয়তো আরও অনেক অনেক জীবন গড়িয়ে পৌঁছতে পারবো তোমার কাছে।
আমার কি আর আছে চাওয়ার!