চোখ বন্ধ করে থাকি।জন্ম মুগ্ধ চোখ দুখানি ভিতু হয়ে থির থির কাঁপে চলন্ত পর্দার ছবি দেখে।
কচিটিকে বুকে করে,বাকিদের হাত ধরে মা হাঁটছে দীর্ঘশ্বাসের জীবন নিয়ে পিচগলা সরল রাস্তা বরাবর।
ওরা হাঁটছে...কিছু স্বপ্নের কোমর গুঁড়িয়ে!! নেই অতীত,নেই আগামী!!
চেয়ে দেখছে পথপাশের রুদ্ধবাক বৃক্ষরাশি।আবডালে হাসে হন্তারক সময়।মরতে মরতে বেঁচে ওঠার সাধ যে ওদের!!
আছে অনাহার,গ্রীষ্মের উত্তাপ,বাড়ন্ত ভাঁড়ারের পরিহাসমুখর খিলখিল্।
আছে লরিতে চাপা,আছে ক্লান্ত ঘুমে ট্রেনের তলে ছিন্নভিন্ন বলি।নেভাতে আত্মার তাপ আয়োজন আছে সব-ই।
তবু ধরিত্রীর মাতৃক্রোড়ে বসবাস ওদের অধিকার।এ যাত্রার লক্ষ কল্যাণ,মানে ওরা।
ওরা আয়ত্ত করেছে সহিষ্ণুতা হাঁটতে হাঁটতে।শিখেছে উচ্চাকাঙ্খা রাখতে দুর্বল জীবনের কাছে।লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে তৃষ্ণার জোর।
একথা ঠিক,একাট্টা বেরিয়ে মাঝপথে কাউকে না কাউকে ফুসলে নিয়ে গেছে কাল।
ওরা জেনে নিয়েছে ঠান্ডা মৃত্যুকে শায়েস্তা করার নিয়মকানুন।
গোটা দুনিয়াকে উপহার দেবে সমস্ত সন্তাপ নিংড়ে এক ব্যাখ্যার অতীত রূপকথা!!
প্রাণ কাঁপে,বুদ্ধি ঘোলায় ওদের সংকল্পের দৃঢ়তায়।বাঁচার একটিমাত্র পথকেই ওরা যথেষ্ট মনে করে।
ওরা পারবে,পারতেই হবে আগাছার মতো উপরে ফেলা ভিনদেশের মাটি থেকে ফিরতে আপন চাঁদের আলোয়,আপন বসন্তের বাগানে!! সংকেত পেয়েছে ঘরে ফেরার।
ওরা যে পরিযায়ী!!