অন্তহারা নীলিমার নীচে এখানে সেখানে টাটকা রোদে ঘুরি ফিরি দিনমান।
ঈশ্বরের মুখ দেখতে পাই এই লাল মাটিতে
বুকের মধ্যে প্রেরণার বান ডাকা ধোপদুরস্ত আলো।
আবেগে আমার আঁখির আঙিনায় অকাল বর্ষা!
চৈতন্যে তোলপাড় তোলে যে নাম একান্ত আনন্দে সে আমার শান্তিনিকেতন।
উজ্জীবিত হই উচ্চারণে এমনই তার মোহ।
চারিদিকের বৃক্ষের প্রেম বড় অমায়িক।
দিগন্তের দিকে ছুটে যাওয়া নিঃস্বার্থ পবিত্র হাওয়া দিয়ে যায় শান্তি ডেকে ডেকে।
সূর্যের নয়নে স্ফটিক প্রভায় লেগে আছে রঙের খেলা মুহুর্মুহু।
মুছে দেয় জীবনের খেদ,দুঃস্বপ্নের শুস্কতা
স্বচ্ছ আকাশের উপস্থিতি নিত্য জীবনে।
সেখানে মানুষের মন এক একটি চাঁদনী প্রান্তর।
প্রাণ ভরে গান চলে সুনীল আকাশের আদরে।
শাল তমালের বন্ধুতায় গ্রীষ্ম বর্ষা শীত মুখর।
তীর্থভূমি আমার সারা জীবনের,বারেবার ছুটে যাওয়া তাই তীব্র তাড়নায়।
নত করি মাথা অকারণ ঐ পাতার সবুজে গোধূলিয়া মাঠে খোয়াই এর মহিমায়!
অজয়ের শান্ত জলে হারিয়ে ফেলি মন!
স্নেহ করি কোপাইকে বাহুবন্ধনে ঘিরে!
আমার শান্তিনিকেতন মানুষের আয়ুকে করতে পারে মজবুত।
গ্লানির কালিমা ধুয়ে মুছে দেয় তার স্বচ্ছ সায়র
অপরূপ আলস্যভরা ভালোবাসা আমার!