যদি জীবনের জিলিপি-গলিতে পাক খেতে খেতে হাঁফ ধরে কখনো,তবে এই দিলাম খোঁজ।
চলে এসো,দেখবে আছে,সহজ গৈরিক জীবন আছে।মন জুড়ে যত সাধ সব মেটাবার বর পাবে সেথা।নির্মাল্য দেবে মরচে ধরা প্রাণকে।
পাতাঘন সবুজের দেশ,শেফালি ফুলের গ্রাম।
এই পথ নির্দেশে চলে এসো তুমি,যার মোড়ে মোড়ে পেয়ে যাবে জীবনের ধ্বজা ওড়ানো মোহিত রোদ্দুর।
এ ছোঁয়াচে রোদে স্নান করলে ভালোবাসা ছড়ায় হু হু করে।সে ভালোবাসা আকাশের তারাকে করে আরও খানিক দীপ্তিময়।
চিরপ্রীত ঊষা যখন চোখ মেলে এই সুস্থ গাঁয়ে তখন লেখা হয় আগমনী।
শিশু তরু আকাশকে ডাকে দুহাত বাড়িয়ে।
সোনালী রোদের সরবত পান করে সবুজের সংসার।
ঘাসের ঘাঘরাপরা প্রান্তরে মগ্ন হয়ে ওড়াও জীবন-ঘুড়ি।পরমায়ু যত্ন পাবে..ফলাবে ফসল মুহুর্মুহু।
ঘুঘু ডাকা হালকা দুপুরে পাবে উপুড় করা প্রশান্তি।নভোনীলের অপার বিস্ময় খুলে দেবে জীবনের জটিল গ্রন্থিদের।
সব ভার ভুলে কণা-কণা শান্তিতে পূর্ণ হবে মনের ভাঁড়ার।পলা পলা মেপে নয়,আসবে খুশি অথৈ,খরচ করবে বেহিসেবী হয়ে।
বিকেল হবে,রোদ চলে যাবে ডিঙি বেয়ে পশ্চিমে।দিয়ে যাবে আশ্বাস আগামীর।
আকাশ জোড়া নীহারিকা-পুঞ্জে রাত হবে বিনিদ্র,কিন্ত নিঃসঙ্গ নয়।
রাতভর দেখে যাও তারাদের জ্যামিতি,অঙ্কের খেলা।
পরিতৃপ্ত জীবন ধন্যবাদ দেবে গহন মর্মের কোষ হতে।
আবর্তে সূর্যাস্তের আড়ে লুকিয়ে থাকা প্রত্যুষে দেখবে স্তব্ধতায় মগ্ন বিরাট নিখিলের প্রণয় চোখ।
জমিয়ে রাখতে পারবে যাপন করা প্রহরদের স্মৃতির কুটিরে।অকালে তারা বেপরোয়া বাৎসল্য দেবে।
আমি যে গ্রাম্যজন!! হলফ করে বলছি,সমস্ত পরিখা ডিঙিয়ে চলে এসো নিজেকে উদ্ধার করতে।অবসাদের পলি জমা শুধুমাত্র প্রশ্বাস নিঃশ্বাসে বয়ে নিয়ে যাওয়া জীবনকে রোদ দাও একটু।
প্রত্যেককে স্বাগত জানাই স্বতন্ত্র।