ভালোবাসার ভার হারিয়ে টাকাকড়ির পুন্যে খুব,
ক্লান্ত মনের ফ্ল্যাটবাড়িটা ঝুলছে মহাশূন্যে চুপ।
জয়মাল্যের শুকনো ফুলে সুখের গন্ধ ফেরার হয়,
আড়ালে আড়াল সূর্য তারা,অ্যালার্ম ঘড়ির সময় বয়।
সারবন্দী ফুলের টবে বেজার মানুষ দিচ্ছে জল,
কায়ক্লেশের ব্যালকনিতে কষ্টে ফোটে ফুলের দল।
দুর্ভাগ্যের রুগ্ন শরীর উপবাসী অন্যমনা,
নিঃসঙ্গ স্কাইস্ক্র্যাপারে নিষিদ্ধ নীল,শিশিরকণা।
পূবের তারার মুখ দেখি না সিলিং ভরা প্রদর্শনী,
ব্যক্তিগত আলোর জ্বরে রঙিনতা ধুঁকছে জানি।
ঘষা-মাজায় জাগিয়ে রাখা নিঃসঙ্গ দিনের সারি,
মনে পড়ে কামরাঙা গাছ,ছায়াচ্ছন্ন আমার বাড়ি।
আধোজাগা বিবেকখানি তবু মেঠো পথ হাঁটে,
পৌষ শীতের আগুন পোহায় ফেলে আসা ঐ মাঠে।
পরমায়ু চাইতে সে যায় শাপলা দীঘির পূব পাড়ে,
পয়মন্ত গেরুয়া মাটি দৈব আশিস দেয় তারে।
মাটি জানে মুখ ফেরালে সময় কাঁটা দেবেই দুখ,
আত্মজকে অমৃত দান বেলা অবেলায় মাটির সুখ।
একাকিনী সাদা মেঘে কল্পনাদের চূর্ণ কণা,
স্তব্ধ মনের অলিগলি,সফলতার এই ঠিকানা।