দেখতে দেখতে বহুদিন
কেঁটে গেলো
তোমাকে আর আগের
মতো
সেই সকাল
থেকে সন্ধ্যা প্রাতে
বারে বারে দেখার
জন্য, বলার জন্য
রাস্তার পাশে
দু- তলা বাড়িটার
সামনে
দেয়ালটায় আর
তোমার
ছবি আঁকি না।
সেখানে বসে বসে
নীরবে তোমাকে ভেবে
মনের ছন্দরা আর
কবিতা লিখে না!
যখনি তুমি বারান্দায়
এসে উঁকি দিতে
তোমার অবাধ্য কেশ
বাতাসে এলোমেলো হয়ে
একদম চোখ মুখ
ঢেকে যেতো!
শুধু লাল দুটি চঞ্চু
বেঁকে গিয়ে
চঞ্চলা হাসিতে
লজ্জার ভূষণ আঁকতো।
শুনেছি সেদিন
তোমার নাকি উচ্ছ
শ্রেণীর এক ছেলের
সাথে বিয়ে ঠিক!
ভালোই
তো ভালো না সুখে থাকবে
দেশ বিদেশ
ঘুরে বেড়াবে
যখন
যা ইচ্ছে হবে বলতেই
পেয়ে যাবে।
আমার
কুড়ে ঘরে মাটির
বিছানায়
তোমাকে এসবে মানাবে না
লোকে মন্দ বলবে…।
তাই আজ
তুমি হতে দূর বহুদূর
চলে এলাম উদাসীন
সাগরের তরে
যে কয়টা দিন
বেঁচে থাকবো
না হয় রংধনু আর
গোধুলী রঙের
ভীরের মাঝেই
তোমার ছবি
আলপনা করে নিজের
মতো করে সাজিয়ে নেবো
আমার ভালোবাসার
নীল কাব্যে।