ইদানীং কিছুই লিখতে পারছিনা
না কবিতা,না গল্প,একেবারেই না!
শৃঙ্খল শৈশবে ফিরে যাই বরংবার
মাকড়সার জালে ঘেরা ভাঙা সাইকেলটা
দেয়ালে বেশ স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে
ব্যাটারি চালিত লাল রঙে গাড়িদুটো
অযত্নে ঘরের কোণে উল্টে আছে!
শ্যামল দিগন্তে উড়ন্ত সেই ঘুড়িটা
শুনেছি মেঘের দেশে দূরান্তে ভেসে
গেছে
ছয়টি বৈশাখে কেনা মাটির খেলনাগুলো
দরজার দুপাশে এক দুটি খুঁজে পেয়েছি।
ইচ্ছে ছিলো আবার এগুলো জড়িয়ে
কয়েক গুচ্ছ সুখ ফলাবো হৃদয়ে!
তারপর সেই কলম সেই কাগজ ছুঁয়ে
শব্দপুঞ্জে ডুবে যাবো স্নিগ্ধ প্রহরে।
সন্ধ্যার পালকি করে রাত্রির গহ্বর ঘুরে
শুভ্রতা মাড়িয়ে সূর্যের মিষ্টি রোদ্দুরে
বিলিয়ে দেবো অন্তরীক্ষের রক্তিম ঘ্রাণ।
এমন স্বপ্নবিলাসে প্রণয়ের ডালা
দুচোখ ভরে দেয় সাত সমুদ্র নীলে!
যদিও পঞ্চ আঙুল পাথরভারে নিশ্চল
তবুও অস্তিত্বতের বিষণ্ন ক্যানভাসে
এক ক্রশ কল্পনা হেঁটে যায় অনায়াসে।


রচনাকাল-৩.০৬.২০ ১৫।