জীবনের নয় আত্মঘাতী,মরণ হোক হতাশার
           আব্দুল্লাহ আল সাদি


   আহ জীবন, জীবনের কতো যে স্বাধ,
ওনাদের কী উপলব্ধিহীনতায় ভেঙ্গে গিয়েছিল ধৈর্যের বাঁধ?


আহ জীবন, জীবনের তো ক্ষণস্থায়ী স্বাধ,
কতটুকু ধৈর্য আর উপলব্ধিহীনতায় একজনার আত্মঘাত?


আমি বলছি পত্রিকার পাতায় পড়া, আচমকা কানে আসা সেই আত্মঘাতীদের করুন কষ্টের কথা,
  কতটুকু আঘাতে ধৈর্য হারিয়ে আপন জনাদের  আমরণ মনে রেখে যায় ব্যথা।


আমি ভাবছি  তারা কোন বা হতাশায় জীবনকে দিলো বিসর্জন,
  নাহি পেলো পূন্য শুধুই পাপ করেই গেলো অর্জন।


আমি ভাবছি কীভাবে নিজের হাতেই গলায় দড়ি পড়ে,
  শয়তানের ধোকায় বিষ পান, আর উচ্চথেকে লাফিয়ে মরে।


আমি ভাবছি যে মা জন্ম দিলো সে জননীর কথা না ভেবেই কেনো করল আত্মঘাত,
   কেনো ভাবলো না  অপঘাতে  সন্তান হারালে মা বাবা সইতে পারে না সেই দুঃখময় ছায়াপাত।


আমি ভাবছি ব্যর্থতার বিপরীতে যুদ্ধ না করেই আত্মহত্যা কেনো করে আলিঙ্গন,
  কেনোই  ভাবে না স্রষ্টার কিছু  নিষেধকে অমান্য করিলে হয় যে সীমালঙ্ঘন।


যে হাটতে পারে না তার কথা শুনিনি তো নিজেই করেছে আত্মঘাত,
  যে জন্মান্ধ  হতাশায় সেও তো  নিলো না আত্মঘাতীর স্বাধ।


তবে কেনো সুস্থ মানুষ জীবনে বাঁচার আশা হারায়,
  কেনো বুজে না হতাশার সুযোগেই শয়তান বাঁচার অনাগ্রহ বাড়ায়।

কেনোই বা মানুষ মানুষ কে করে অধিক জ্বালাতন,
  কেনো ভাবে না দায়িত্ব নিতে আসে নাই সবাই সবার মতন।


ব্যবসায় ক্ষতি, না পাওয়ার ব্যথা, নিষ্ঠুরতা, বেকারত্ব আর পড়ালেখার জন্যেও করেছে আত্মঘাত,
  তাদের জুলুম না করে, কেনো বাড়িয়ে দেয়নি সহযোগিতা আর একটু সাহসের কোমল হাত।


  আল কুরআন আর কোনো ধর্ম গ্রন্থ নেয়নি তো আত্মঘাতীর পক্ষ,
সব হতাশায় আল্লাহ ভরসা কারণ শয়তান কুমন্ত্রণা দিতে যে দক্ষ।


সব হতাশায় থাকে যেন আল্লাহ ভরসা আর কঠিন পরিশ্রমে বাচার নেক আশার,
     জীবনের নয় আত্মঘাতী, মরণ হোক হতাশার।


আমরা তো জানি ধর্মের কথা, আত্মহত্যা মহাপাপ,
    প্রার্থনা করি যারা আত্মঘাতী বেছে নিয়েছিল স্রষ্টা করুন তাদের মাফ।

   সৃষ্টির সেরা হয়ে মেনে নেয় কেনোই বা জীবনের পরাজয়,
          বেচে থাকলে পরিশ্রমে দেরিতে হলেও নতুন কিছু করা যায় জয়।


সব হতাশায় থাকে যেন আল্লাহ ভরসা আর কঠিন পরিশ্রমে বাচার নেক আশার,
   জীবনের নয় আত্মঘাতী, মরণ হোক হতাশার।