বহু ‘শিবরাত্রি’র সারাটা রাত মা আমায় বিনিদ্রিত রেখেছিল।
পাবো একদিন শিবের মতো স্বামী।


আজ অনেক বছর পর, শুধু আমি আছি মা নেই।
আমার ঘর আছে, সংসার নেই।
বুক আছে শুধু প্রেম নেই।
জীবনের অন্ধ গলিতে সাজানো পতিতালয়ের দূয়ারে
আজ ধিক্‌ ধিক্‌ করে জ্বলছে আমার নারীত্ব।
তোমাদের সমাজ-সভ্যতার গোছানো অলিন্দে
আজ আমি রূপাজীবা।


আমার প্রথম শাড়ি পরার দিনে
পাশের বাড়ির ‘মানব’ গোপনে ডেকে বলেছিল
সে আমায় ভালবাসে।
অদ্ভুত ভাললাগায় কেঁপে উঠেছিল বুকটা।
সেইদিনের পর, আরো একবার আমার কচিবুক কেঁপে উঠলো
মানবের বিয়ের খবরে।


আমার অকৃত্রিম ভালবাসার
নিষ্পাপ কলঙ্কের বোঝা কাঁধে নিয়ে তারপর
প্রথম যেদিন সমাজ-চ্যুত হলাম
সেদিন মধ্যরাত্রে ঝড় উঠেছিল।
ভীষন শক্ত মুঠিতে সে রাতে
আমার জরায়ু আঁকড়ে ধরেছিল
মানবের অবৈধ সন্তান।