সূবর্ণ একদিন আমায় বলেছিল
‘তুমি ভীষণ সরল’
উত্তরে বলেছিলাম ‘আমি যে রেখা’
সেদিনের পর ওর সঙ্গে
আর আমার দেখা হয় নি।
আসলে সূবর্ণ আমায় চিনতো না কোনোদিন।
আমার নীল শাড়ির আচঁলে
ও শুধু মেঘ খুঁজতো।
আমার নারীত্বের গভীরে
ও শুধু মমতা খুঁজতো।
সূবর্ণ আমার বৃষ্টিকে ভালবেসেছিল
আমি ভালবেসেছিলাম ওর সুঠাম দেহটাকে।
জানতেও পারি নি.....
হৃদয়ের অতলে কত পলি জমে গেছে
দুজনার কতদিন ধরে।


সূবর্ণের সঙ্গে আবার সেদিন
হঠাৎ দেখা।
আমায় বলল ‘আমি নদী দেখি নি কখোনো’
বলেছিলাম ‘আমার সঙ্গে বয়ে চলো.....
আমার হৃদয়ে তোমায় সূবর্ণরেখা দেখাবো’।


(প্রয়োজনীয়তা না থাকলেও কবিতাটির জন্মের কথা বলি। শিলিগুড়ি থেকে জামশেদপুর যাচ্ছিলাম এক হোটেলের ইন্টারভিউ এর জন্য। ২০০০ সালে। আমরা দুজনেই একা ছিলাম । আমি আর কর্মভূমি এক্সপ্রেস। ট্রেনটি সূবর্ণরেখা নদীর উপর দিয়ে যায়। কোনো এক কারনে ঠিক ব্রীজের উপর ট্রেনটি প্রায় দশ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল। জানালা দিয়ে সূবর্ণরেখার সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে দেখতে এ মন হঠাৎ, জানি না কেন প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। ভালবাসার খোঁজে তাই কবিতা........ট্রেনেতে বসেই...।)