চোখে চমকায় বোবা বিদ্যুৎ ডানপিটে প্রেম বুকে
আধো জ্যোৎস্নার আলো আঁধারি স্নিগ্ধ কিশোরী মুখে।  
মেয়েটি তখন স্কুল বাসে যায় পরেছে প্রথম শাড়ি
ফেসবুকে যারা লাইক দিলি না তাদের সঙ্গে আড়ি।  
ঘটনা তেমন ঘটেনা কিছুই,কিছু খুনসুটি বাসে
ক্যাবলাহ্যাবলা একটা ছেলে একলা অঙ্ক কষে।  
মাথা ভর্তি একরাশ চুল অম্লান হাসি ঠোঁটে
গ্রাম বাংলার ছবি যেন আঁকা মুখের প্রেক্ষাপটে।  


পুষ্পাঞ্জলি দিচ্ছে সবাই সেদিন পঞ্চমী
ছেলেটি এসেছে,মেয়েটিও আছে,আছে অঙ্কের দিদিমনি।  
সবাই তখন মন্ত্র বলছে ভক্তিতে মশগুল
ছেলেটির পিঠে হঠাৎ পড়লোএকটা পুজোর ফুল।  
বিস্ময় চোখে ছেলেটি যখন একটু পেছন ফেরা
চোখাচোখি হলো মেয়েটির সাথে হাসি দুষ্টমি ভরা।  
লক্ষ্য ছিল, না লক্ষ্যভ্ৰষ্ট প্রশ্ন জটিল ধাঁধা
প্রোবাবিলিটি বা প্রোজেক্টইলে উত্তর নেই বাঁধা।  
অঙ্কের যত ফর্মুলা আছে ট্রাই করে যাও তুমি
ধরে ফেলেছে সহজ সত্য অভিজ্ঞ দিদিমনি।  
তারপর থেকে ছেলেটি কেমন আনমনা সব কাজে
মেয়েটির সাথে চোখাচোখি হলে চোখ নিচে নামে লাজে।  
মেয়েটি আবার বড়ো হাসিখুশি বাড়ে দুষ্টমি রোজ
বইর ভিতর একদিন পেলো পাণ্ডুলিপির খোঁজ।  
একপাতা জুড়ে হিজিবিজি সব সঙ্কেত শিলালিপি
ও ছেলে তুই ঠিক ধরেছিস এ মেয়ে বুদ্ধিমতী।  
মেয়েটি যেদিন উদ্ধার করে পাণ্ডুলিপির মানে
পূর্বরাগের রাঙা রঙ্গোলি শিহরণ আনে প্রাণে।  


দুর্ঘটনা ঘটলো সেদিন হপ্তাখানেক পরে
অঙ্ক ক্লাসে হেড দিদিমনি হোমওয়ার্ক চেক করে।  
খাতার ভিতর শিলালিপি হাতের লেখাটা চেনা
পরদিন থেকে ছেলেটি কেন আর স্কুলে আসেনা!!
কেউ জানেনা কোথায় সে গেছে মেয়েটির মন ভারি
বলা হয়নি, মেয়েটির বাবা স্কুলের সেক্রেটারি।  


এসবতো গেলো পুরোনো গল্প কিশোরী এখন নারী
নেউইয়র্কে বসবাস তার ঘোরতর সংসারী।  
আইটির জব অগাধ বেতন প্রমোশান ধাপে ধাপে
পুষ্পাঞ্জলির ফুল হাতে নিলে কেনযে হাতটা কাঁপে।  
ছেলেটির কথা কেউ জানে না নেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে
ধরেনেওয়া যাক যেখানে থাকনা রয়েছে মনের সুখে
একটা ধাঁধার সমাধান চাই সে এক আজব বিস্ময়
আদিবাসী স্কুল অলিম্পিয়াডে অঙ্কে প্রথম হয়।