নাড়িতে ছুটছে নস্টালজিয়া চুম্বিত প্রেম ঠোঁটে
হটাৎ যদি দেখা হয়েযায় ভুবনডাঙার মাঠে।  
তুমিকি এখনো সেই ষোড়শী না এক্কেবারে বুড়ি
কি যেন ছিল নদীটার নাম গঙ্গা না ধানসিঁড়ি।  


তোমার নাম কি চম্পাকলি, আমি কি তোমায় চিনি ?
কিচ্ছু এখন মনেপড়ে না, আমিই বা কে কি জানি।  


শ্রাবন মাসের  ভরা পূর্ণিমা চারদিকে চুপচাপ
প্রথম সেদিন দুরুদুরু বুকে হাত ছুঁয়েছিল হাত।  
স্পর্শ তো নয় সে যেন এক সুরের অনুরণন
চড়াই-খাদে শরীর জুড়ে হাতের পরিক্রমন।
হাত ছুঁয়েছে চোখের পাতা ঠোঁট ছুঁয়েছে ঠোঁটে
গভীর সুখে জড়িয়ে ধরে রাত গিয়েছে কেটে।  


হাঁটতে হাঁটতে এসেগেলাম পথের শেষে বাড়ি
বারান্দায় শুকোচ্ছে হলুদ ছোপ শাড়ি।  
পা টিপেটিপে পৌঁছে গেছি চিলেকোঠার ঘরে
ভীষণ ভীষণ লজ্জা করছে, বাকি কথা পরে।  


এখন কিছুই মনে পড়ে না কোথায় আমার গ্রাম
অচেনা সব মুখের ভিড়ে মায়ের শাড়ীর ঘ্রান।  


চম্পাকলি চম্পাকলি চলো নদীর পার
স্মৃতিরা সব শুকিয়ে যাচ্ছে আমার অ্যালজাইমার।
ঘুরে দেখব আমার গ্রাম ছুঁয়ে দেখবো মাটি
তোমার হাতে ফেরত দেব তোমার লেখা চিঠি।  


চম্পাকলি চম্পাকলি  ওই নামে কেউ নেই
ওষুধটা কাজ করছে না আর, ইউ আর হ্যালুসিনেটিং।