পরিচয়


অতি সাধারণ অতি অসাধারণ
চোখেতে পড়েনা কারণে অকারণ
আমি ইকোনোমিক্স, অন্য ক্লাস
পরে জেনেছি তার বাংলা অনার্স ।  
রাস্তা জুড়ে সেদিন মিছিলে ছয়লাপ
কি করে বাড়ি ফিরি ? সেই প্রথম আলাপ ।  
রাত জেগে সেই দিন প্রথম কবিতা
সে পড়ে বলেছিলো একদম যা তা ।  


প্রেম  


ঘুরি ফিরি তার সাথে এখানে ওখানে
নির্জন নদীতীরে, কখনো জনারণ্যে
কত কথা কত গান, ফুলছোঁয়া শিহরণ
জীবন এমনি হোক, বাঁচুক প্রেম আমরণ ।  
খুনসুটি ঝগড়া সুর কাটে তার গানে
নীরবতা কথা বলে, অকারণ অভিমানে ।  
সময় থমকে যায়, কিছুদিন চুপচাপ
হৃদয় মুচড়ে কাঁদে, রাত জাগে অনুতাপ ।
একদিন মিসকলে সংকেত সাহসী
হিংসুটে শোন, শুধু তোকে ভালোবাসি ।  


তারপর  


শহর জ্বরে পুড়ে, কবিতা খানখান
স্মৃতিরা মাথাকুঁড়ে, অযথা মদপান ।  
কেন সে চলে গেলো অজানা কোন দেশে
পুরোনো রিংটোন এখনো কানে ভাসে ।  
তারারা বলে গেছে নেই সে ছায়াপথে
খেলে না লুকোচুরি মেঘেরা তার সাথে ।
বোঝে না অবুঝ মন অযথা জ্বলে মরে
সে তো আজ অন্য কোথা, অন্য কার ঘর করে ।  
তবুও স্বপ্নরা রঙিন ডানামেলে
কখনো যাবেনা সে এভাবে একা ফেলে
স্মৃতি ও বেপরোয়া ধরেছে বায়না
শত অনুরোধে তাকে ভুলিবে না ।  
তারপর একদিন হিমেল সন্ধ্যায়
পাখিদের কলরব হঠাৎ থেমে যায়
অসাড় শরীর ঘিরে উৎসুক জনতা
হাতের উল্কিতে লেখা নাম তার 'বনলতা'।