আবুল মিয়া ফর্সা মানুষ, বউটা তাহার কালো
এই কারণে বউটা বেশি ,লাগে না তার ভালো।


বউটা আবার কালো হইলেও, বড় ঘরের বেটি
বাপের ঘরে খাইছে শুধু ,বড় মাছের পেটি।


ভালো খেয়ে বড় হওয়া ,এই বেচা*রির মুখে
স্বামীর ঘরের ভর্তা ভাজি ,পান্তা কি আর ঢোকে।


বউয়ের জ্বালা জামাই গরিব, স্বামীর বউ তার কালো
দুইজনেই কয় এমন সংসার, ভেঙ্গে দেওয়াই ভালো।


দুইজনেই ভুইলা তাদের, দুই মানিকের কথা
সোনার সংসার ভেঙ্গে দিল, এ দুই মাতা পিতা।


নিজের ভুলে পথ হারিয়ে, পথভোলা এই নারী
নিজেই নিজের ঘর ভাঙ্গিয়া, গেল বাপের বাড়ি।


ভেবেছিল ভাইয়েরা তার, আগের মতই আছে
আগের মতই বাসবে ভালো টানবে বুকের কাছে।


বাপের বাড়ি গিয়ে দেখে ভাবনাটা তার ভুল
ভাই ভাবিদের হাতে এখন ,বিষ কাঁটা আর হূল।


কথায় কথায় কথার খুটার, হূল কাঁটা দেয় গায়
পাড়াপড়শি ও কাটা গায়ে ,লবণ দিয়ে যায়।


ভাই ভাবীদের কাছ থেকে এই, আঘাত পাওয়ার পর
বুঝতে পারে স্বামীর ঘরেই, নারীর আসল ঘর।


হেলায় হেলায় ঘর ভাঙ্গিয়া ,ঘর হারা এই নারী
চোখের জলে বক্ষ ভাসায় ,বইসা বাপের বাড়ি।


ওইদিকে তার স্বামী আবার, করছে আরেক বিয়ে
বিয়ে করে পড়ছে জ্বালায়, বাচ্চা দুটো নিয়ে।


এমনিতেই এই বাচ্চা দুটোর, মা নাই তাদের কাছে
এখন আবার সৎ মা তাদের, লেগে থাকে পাছে।


খানা খাদ্য খায় না ওরা ,সারাটা দিন ঝিমায়
এদের নিয়ে বাপটা পরছে, ফাটা বাঁশের চিপায়।


চিপায় পইরা বাপটা কান্দে, বাচ্চা বাপের দোষে
মা টা কান্দে ঘর হারাইয়া, ভাইয়ের ঘরে বসে।


এই যে এত কান্নাকাটি, এত চোখের জল
সবটা হইলো হেলায় হেলায় ,ঘর ভাঙ্গিবার ফল।


কারো বুকে ঘর ভাঙ্গিবার ,স্বপ্ন যদি জাগে
এদের একটু দেইখা নিও, ঘর ভাঙ্গিবার আগে।