রমজানেরি মাস এলে তারাবির তরে পড়ে ধুম
সন্ধ্যা হলে সব ছেলেদের উধাও হয় ঘুম।
মাগরিবেরি পরে লেখা পড়া সব বাদ
সব ছেলেরা এবার নিবে তারাবির স্বাদ।


আম্মা বলে কালকের পড়াটুকু সেরে নাও সোনা
আমি বলি পাঠশালা বন্ধ, তুমি - কি জানো না?
এশার আজান আগে অযু কালাম সেরে নিলাম
বন্ধু বলে এই যে শুন, আযান দেয় মুয়াজ্জিন কালাম।


পৌঁছালাম মসজিদে আজানের সাথে সাথে
মুসল্লী সাচ্চা মোরা বসলাম খুব আদবের সাথে।
মুয়াজ্জিন ইকামত হাঁকে, দাঁড়ালাম মোরা এক কাতারে
এশা করলাম শেষ, সুন্নাতটাও পড়লাম খুব আদবে।


তারাবি হলে শুরু, আমরা হতাম দুষ্টের গুরু।
কেউ করে কুটাকুটি, কেউ বা ছোটাছুটি।
খানিকটা বাদে দুষ্টামি ছাড়ার হয় ইচ্ছা
দ্বিতীয় রাকাত শেষে আমরা কিন্তু মুসল্লী সাচ্চা।


নামাজ শেষে বলে সাজ্জাদ,কে এত বড় বজ্জাত!
সবাই থাকি চুপচাপ, আমরা হলাম নিষ্পাপ।
কিছু ক্ষন পর পুকুর ঘাটে জমাতাম আালাপ।
সারাদিনে ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে হতো সংলাপ।


জোছনার স্নিগ্ধ আলোয়,হারাতাম ভিন  জগতে
মনেহতো সব গল্পবাজ, হয়েছি একসাথে।
কেউ বলতো পুরানো কাহিনি কেউবা আবার রূপকথার গল্প
কারো আবার ভৌতিক কাহিনি, যদিও জানাশোনা খুব অল্প।


তারাবির শেষে বিতির নামাজে সবে হই খারা
আজ নাকি সিন্নি দেবে জাবেদের দাদি জোহরা।
মাঝে মাঝে জিলাপি  আর  বিরানির সাথে সাক্ষাত
আব্দুল গফুর বলে, পাবি সবে লাইনে খাড়া বজ্জাত।