বিরহকে ছাঁই চাপা দিয়ে বুকে
আবৃত্তি করে যায় কবি
একের পর এক প্রেমের কবিতা
উৎসব-অনুষ্ঠানে, কবিতার মঞ্চে
বছরের পর বছর- নিজেকে ফাকি দিয়ে
ভক্তদের ফাকি দিয়ে।


প্রেমের পূজারী কবি-
রাত দিন লিখে চলে শতশত প্রেমের কবিতা
প্রেমে বিভোর যুবাদের পক্ষ নিয়ে
যেন একই মতের লোক
একই পথের লোক
বিরহকে চেপে ধরে কন্ঠের নিচে।


ভক্তরা বুঝেনা, নিজেও বুঝেনা
কোনটা প্রাকৃতিক আর কোনটা অপ্রাকৃতিক ভাব
তারপরও লিখে চলে কবি
শতশত প্রেমের কবিতা
ঠিক যেন হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে আসা
গুচ্ছ গুচ্ছ প্রাণ চঞ্চল ছন্দ।


তরুণ-তরুণীরা আবেগাপ্লুত হয়
তাদের দলে কবিকে পেয়ে
প্রেমের পূজারী কবি-
নিজেদের দলের কবি-
বুঝেনা কেহ ব্যথিত কবির বিরহ ব্যথা
চাপা পড়ে রয় তারুণ্যের প্রেমের চাপে।


শতশত বর্ষ ধরে এভাবেই চলে
নিজের সাথে পরের সাথে কপটতা
বাহ্যিক আড়ম্বরতা দেখে বুঝেনা কেহ
কি ব্যথা কবির ভাবের গভীরে
শুধু প্রাণের চাঞ্চল্য ফুটে উঠে ছন্দে
বিরহটা চেপে থাকে কন্ঠের নিচে।


আরও শতশত বছর হয়তো চলে যাবে
জানবেনা কেহ অতৃপ্তির বেদনার কথা
জানবেনা- কি ছিল কবির ভাবের গভীরে
তরুণ ভক্তদের ভালবাসার ভীড়ে
ছন্দ হারাবে কবির বিরহ ব্যথা
নক্ষত্রের মত আলো দেবে প্রেমের কবিতা।